নীলাব্জ চক্রবর্তী’র গুচ্ছ কবিতা | আঙ্গিক
ছায়া ও মাংসের ব্যাকরণ
সে
তার ছায়ার ভেতর
ছায়া হয়ে
আমি
যে ভাষা হীন হয়ে
কেমন
গুলিয়ে ফেলেছি কার কাছে প্রবাদের মতো
একটা প্রশ্নচিহ্ন ছিল খুব
শ্লীল হয়ে
কাচরঙের একজন অনুমতিপত্র
ছড়িয়ে
হাওয়ায় উড়ছে ব্যাকরণ
তাকে মাত্রা বলছি আজ বলছি
কিছু ঘন পারদ হয়েছে বলে
কাগজে কাগজে
বিঁধে আছে
মাংসের আশ্চর্য অক্ষর...
রিটেক করুন
ফুলের জন্য যে তেষ্টা
সেই আদিম দ্রিম
যে মন্ত্র
শব্দ খুলে
ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে
শ্বাস অবধি ফুলে উঠছে
বিশ্বাস
রিটেক করুন
অর্থাৎ এই অংশটা
যোনির্দেশ
যখন
সবার আঙুলে
কথা বলা ওষুধের গাছ
অভিনয় করতে করতে
বোকা একটা বাদামী হাতবাক্স
ধ্বনি স্ক্রল করছে সারাদিন...
কবিতার মতো
কবিতার মতো
একটা কী যেন অস্বস্তি
বারবার
বালিশ উলটে উলটে
ফ্রেমেদের ভেতর
যেসব কোঁকড়া শব্দেরা
কার
ইশারায়
হাঁটতে হাঁটতে একটা দুটো স্মৃতি
বারকোডে ঢুকে যাচ্ছে
এই প্রাচীনতা তখন সবার
লেন্স ফুঁড়ে
একটাই সাধারণ নির্বাচনের মতো চাঁদ
গ্রাফ বেয়ে
বারবার নেমে যাচ্ছে...
আবার ডে ফর নাইট
রুট অবধি
ভ্যালেনটিনা ত্রিভুজ অবধি
যে সিগনেচার
সাদা ফ্যাব্রিক
ফুলে ওঠা সরল জ্যামিতিরেখায়
ফর্সা কাচ চোখ দেখছে
কার
ক্লোজ-আপ যে ভাষা
এই ব্যবহার
কার সাথে ঘুরে আসছে
আবার ডে ফর নাইট
মুভ ইট
একটা প্রাচীন টেকনিক যেমন গান অর্থে
কড়া গন্ধ
ফটোগ্রাফ
একটা স্বয়ংক্রিয় স্মৃতি হয়ে...
মন্তব্যসমূহ