শুভজিৎ দাশের দুটি কবিতা | আঙ্গিক

 


ওয়েব সিরিজ


যেখানে পেয়েছি তাঁর অসমান অস্তিত্বের প্রতীক 
পাথর দর্শনে শুধু মানস-খননে বুনেছি দেবতা।
রক্তজল করা নৈবেদ্য, উপচারস্বরূপ ঢেলেছি জরা,
অপমানিত পাখির মত ডানার সংযমে পড়েছি মাটিতে।

প্রণামে প্রণামে ছয়লাপ করেছি অপ্রাপ্তির কোরাস,
দেওয়ালে দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছি অজুহাতনামা
আর, এখন ভোর আসলেই সূর্যের আগেভাগে
কে যেন ঘরে ঢুকে ঘুম পাড়িয়ে যাচ্ছে সপাটতানে।

মালকোষের আগে ভৈরর বিছিয়ে নাভি থেকে খুঁড়ে
জন্মান্তরের সনেটচিত্র পিঠজুড়ে খোদাই করেছি তার।
চোখের জলের সঙ্গে বারুদ মিশিয়ে ফি-বিকেল
বুঁদ হয়ে থেকে একটার পর একটা চ্যানেল বদলে দিয়েছি।

ভাতের পোষাক পরে নবজাতক শিশ্ন ধরে ঝুলে আছে,
রোজ বারণ করলেও সে রাষ্ট্রের মত হাসে !
জ্যোতিষীকে এখবর জানিয়ে পাথুরে পরিত্রাণ 
পেতে গিয়ে দেখেছি আমার দশ-দশটা আঙুল তোমার মুখের ভেতর।

বিলায়েত শুনতে শুনতে খুনির সঙ্গে গল্প করার স্বপ্নে,
বারংবার পাথরের একটা শো-পিস চোখ মেরে যাচ্ছে।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে টিক্ মারতে মারতে রিক্স পেলাম,
উঠে বসতেই দেখলাম, দেবতা-চালক ভিডিও কলে ছেলেকে টিপ পরাচ্ছেন।

স্টেশনে নেমে ভাড়া দিতে গিয়ে কোনও হাত খুঁজে না পেয়ে তার
জামার পকেটে টাকা গুঁজতে গিয়ে ভ্রূণের ছ্যাকা খাই।
ট্রেনের ইনকামিং শব্দে আমার বিকেলের চা জুড়িয়ে আসে,
আরও একটা নতুন সিরিজের জন্য আমি নেটফ্লিক্স হাতড়ে যাচ্ছি।


এরপরেও তুমি বলবে, ‘বিপ্লব আসবে?’




সিরাজ

সঙ্গে লিখি জলপ্রপাত 
অঙ্গে আঁকি নদীর জল
যুগল পথে মোরাম হতে,
হাঁটছি দোহে অনর্গল।

পাহাড়প্রমাণ ইচ্ছে সকল
অষ্টপ্রহর তোমার মুখ,
অচিনপুরেও সব চেনাদের
চিনছি দুজন আরাম-সুখ।

গাছের পাতায় ফোঁটার আলো
বিম্ব কথায় আগল ছাড়
হৃদয় ফুলের মধ্যে বাঁচে
মেঘপিয়নের ইন্তেজার।

নিয়মমাফিক চাদরগুলো 
ঠিক সরে যায়, বাতাস-ঝোঁক
তোমার আমার স্বপ্নগুলো
আলিঙ্গনে সত্যি হোক।

মন্তব্যসমূহ

জানাকথা বলেছেন…
দুটোই ভালো লেগেছে আমার

জনপ্রিয় লেখা