আগামীর নির্বাচন | দেবাঞ্জন দাসের কবিতা | আঙ্গিক
২)
চরাচর জানে
মেঘের কত উপর দিয়ে মানুষ হাঁটে
তাদের ছোট শ্বাসে বিজন ওড়ে
থাক থাক ভালোবাসা ঘিরে
অনাবাদী গোলাপ ঘিরে
ঘন বাঁশ ঝাড় পেরোনো সবুজ দিন
মাটিতে দাগ কেটে রাখা হয়
খাসি কাটা হবে
মদ খাওয়া হবে
সংঘবদ্ধ পূর্ণিমা আসবে
মোষের পিঠে ওল্টানো আকাশের চোখে
আমরা দেখে ফেলব
সব চিঠি পড়ে যাচ্ছে ডাকবাক্স থেকে
পুতুলেরা বিয়ে খেয়ে পাল্কিতে উঠছে
আয়নায় বাড়ির প্রদীপ জ্বলে উঠছে
একে একে
এমন হলে নিসর্গ থমকে দাঁড়ায়
শ্বাস নেয় কিঞ্চিৎ
তখন গেরস্থালী থেকে
যে বাতাস বয়
তাকে সজদা করি
চোখ দুটো খুলে উপহার দিই
গভীর রঙিন বৃষ্টি
এখানে সব গোপন আছে
গরুটি ঘাস খাচ্ছে ঘণ্টি বাজিয়ে
ভেতরে
পুতুলের মা-বাবা-পরিবার
নির্বাচন-বাণিজ্য-যুদ্ধ
আলপথে ভেঙ্গে পড়া চাঁদে
বুলেটে
ধানের শিহরণ
৩)
একটাই তো বাতাস
কাছে গেলে
মানুষ পাখির আজান হয়ে যায়
গ্রামের শেষ পথ বদলে
পথ শুরু হচ্ছে
জুড়ে যাচ্ছে সাম্প্রতিক বাতাসে
মেঘ সরে গেলে
দেয়ালা করবে মাঠ
সে ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়েছিল শেষ লোকালে
দূরের সন্ধ্যায়
আর আমরা যারা নদীর স্নায়ু নিয়ে খেলতাম
জ্যান্ত বেদানার মত
ফলতাম পথেঘাটে
অন্তর্ঘাতী শিমূলে বৃষ্টি দিলাম
ঝরে পড়াকে অমর করতে
শস্যপাত্রের মুখ খুলে দিলাম
যৌথ মহুয়ার স্মৃতিতে
দেশী ধান, নিতান্ত গম নিয়ে
মুহূর্ত খুঁজছে
শিশুর বিস্ময়
এ লেখা তাই পাঁজরে খনিজ খোঁজে
পুতুলের ঘরবাড়ি ভাঙ্গার সহর্ষ বেদনাকে
টাঙিয়ে রাখে মোহময় পেরেকে
চুলের সব ওড়া ব্যক্ত হয় না
মাটির পৃথিবীতে জ্যোৎস্না সম্পূর্ণ নামে না
কেবল ধান থেকে গমের করিডরে
আকাশ বিচলিত হয়
কিছু বৃষ্টি হয় আজানে আজানে
মন্তব্যসমূহ