শীর্ষ বসু
মৃণাল সেন; বিষয় : নারীবাদ ও মনস্তত্ত্ব
তারকোভস্কি একদা বলেছিলেন, "আধুনিক মানুষের মহত্ত্ব তার প্রতিবাদে। সেই সব মানুষকে ধন্যবাদ যারা অনুভূতিহীন, বোধশক্তিহীন জনতার সামনে নিজেদের জ্বলন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। যারা প্রতিশোধ স্পৃহায় শ্লোগান মুখর পোষ্টার হাতে হেঁটে গেছে"।
ইতিহাস কর্ষণ করলে জানা যায় যে ইটালিয়ান নিওরিয়ালিসম এর চলচ্চিত্র নির্মাণ ধারাপ্রকরণে অনুপ্রাণিত হয়ে পাঁচ (50's) ও ছয় (60's) এর দশকের প্রথম দিকে তৈরি হয় এক নব্য চলচ্চিত্র আদর্শ বোধ, যার নাম প্যারালাল/"নিউ ওয়েভ" সিনেমা। এঁরাই প্রথম বার ক্ষমতার সমীকরণে নিষ্পেষিত তথাকথিত সমাজের বিভিন্ন 'শাষক-শোষিত' মূলক সম্পর্ককে ছবির পর্দায় বাস্তব রূপ দেওয়ার সাথে সাথে চলচ্চিত্রের বিষয়কেন্দ্রে নারীদের অবস্থান কে নতুন আঙ্গিকে পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করেন; বলাই বাহুল্য যে এই নব্য পর্যবেক্ষণ ছিলো পুরুষতান্ত্রিক বলিউডি ঘরানায় নারীমনন ও নারীশরীরের গতানুগতিক বস্তুকরণের(objectification) সম্পূর্ণ বিপ্রতীপে।
এই সময় থেকেই, সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, এবং পরবর্তীকালে শ্যাম বেনেগল, গোভিন্দ নিহলানি'র হাত ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্রের মায়াদর্পণে প্রতিবিম্বিত হতে শুরু করেছিল উত্তর ঔপনিবেশিক সময়কালীন, আর্থ-সামাজিক-সাংষ্কৃতিক-রাজনৈ তিক পটভূমিকায় ঘটে যাওয়া, শ্রেণী-জাতি-লিঙ্গ বৈষম্য জনিত বিভিন্ন নিপীড়ন ও 'ক্রাইসিস' এর মেটান্যারেটিভ( মহাসন্দর্ভ)।
এই পর্যালোচনার প্রতিপাদ্য বিষয় : মৃণাল সেনের সিনেমায় নারীদের অবস্থান, সত্ত্বা-রাজনীতি, ও যৌনতা। এক্ষেত্রে যে তিনটি ছবি'কে কেন্দ্র করে এই পর্যালোচনা আবর্তিত হয়েছে, তা হলো : 'একদিন প্রতিদিন' (১৯৭৯), 'খণ্ডহর' (১৯৮৪) এবং 'অন্তরীণ' (১৯৯৩)। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে সত্যজিতোচিত বুর্জোয়া এস্থেটিক্স(নান্দনিকতা) এর বিপ্রতীপে থাকা মৃণাল সেনের ছবির শৈল্পিক দৃশ্য অনেকাংশেই কোনো 'প্রতীক' নয়, বরং তা হলো পরিচালকের অন্তর্লীন রাজনৈতিক চেতনার নিরন্তর চিত্রায়ন। বলাই বাহুল্য যে মৃণাল সেনের ব্যক্তিগত'ই ছিলো ওঁনার রাজনৈতিক ('personal is political')।যে তত্ত্ব'টির দ্বারা এই পর্যালোচনায় মৃণাল সেনের ছবির 'মেটান্যারেটিভ'এর বিশ্লেষণ ঘনীভূত হয়েছে সেটি হলো গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক এর 'কাউন্টারফোকালাইজেশন'( counterfocalisation) থিওরি, যা মূলত একটি বিশেষ পাঠভঙ্গি হিসেবে প্রথম উঠে এসেছিলো স্পিভাক এর 'এন এস্থেটিক এডুকেশন ইন দ্য ইরা অব গ্লোবালাইজেশন' গ্রন্থে কোয়েটজি(Coetzee) রচিত 'ডিসগ্রেস' এর লিটারেরি রিডিং আলোচনা প্রসঙ্গে; এই তত্ত্ব'টি পাঠ(text) ও পাঠক(reader) এর অন্তবর্তী মনস্তাত্বিক রাজনীতি কে নতুন মাত্রা দেয়; এই তত্ত্ব'টির দ্বারা স্বতোপ্রণোদিত হয়ে 'সক্রিয় পাঠক'(active reader) তাঁর মনোভূমির অন্তর্লীন ন্যায়স্খলনবোধকে(complicity) প্রশ্ন করতে শুরু করে, নিজেকে আলোচ্য মেটান্যারেটিভ এর কেন্দ্রীয় চরিত্রের সমান্তরালতায় রেখে; এবং ধীরে ধীরে স্ব-মনস্তত্বে এক বিকল্প ন্যারেটিভ এর অন্বেষণে উদ্যত হয়। তবে, কোনো উপন্যাস বা টেক্সট এর 'লিটারেরি রিডিং' এর সময়ে কেন্দ্রীয় চরিত্র 'কে' হ'বে : সেখানেই এই তত্ত্ব সংলগ্ন প্রতর্ক'টিকে কেন্দ্রায়িত করা যায়। যেমন: 'ডিসগ্রেস' উপন্যাসে, ডেভিড লুরি'র পরিবর্তে লুসি ধীরে ধীরে কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে ওঠে যখন 'সক্রিয় পাঠক' ইহা অনুধাবন করে, যে লুরি'কে নিরন্তর প্রধান ফোকালাইজার রূপে দেখার ফলস্বরূপ লুসি, নারী হয়ে, পাঠকের দৃষ্টির() হেটেরোনরমেয়াটিভ ইনারশিয়ায় আক্রান্ত, এবং তদ্দারা ফোকালাইজেশন হতে বঞ্চিত; ফলত, সক্রিয় পাঠক কাউন্টারফোকালাইজ ক'রে, লুসি'র 'এজেন্সি'কে আবিষ্কার ক'রে, এবং একটি বিকল্প ন্যারেটিভ এর অন্বেষণে সমুদ্যত হয়।
তবে এই তত্ত্ব প্রয়োগের পূর্ব্বে, মৃণাল সেনের ছবির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বটির প্রায়োগিক প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত আলোচনার সাথে সন্দর্শন হওয়া একান্ত কাম্য। এ কথা সর্বজনজ্ঞাত যে, ইউরোপীয়ান এনলাইটেনমেন্ট ভাবাদর্শের অন্যতম দুটি প্রধান উত্তরাধিকার(legacy) হলো: ১) ডাউট(Doubt) ২) এস্থেটিক্স (aesthetics); যার প্রধান আধার হলো বুর্জোয়া ঔপনিবেশিকতাবাদ। আমরা জানি, কিভাবে এই বুর্জোয়া এস্থেটিক্স এর ধামাধরা ইউরোকেন্দ্রিক আধুনিকতা, ইংরেজ'রা আসার পর, বাঙালির জীবনে ও সাহিত্যে সংক্রামিত হয়েছিলো। ড: অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় 'বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত' গ্রন্থে লিখেছেন, "বাংলা দেশে ইংরেজ অধিকার প্রতিষ্ঠার পর ইংরেজি ভাষার মারফত এ-অঞ্চলে অতিদ্রুত পাশ্চাত্য ভাবাদর্শ প্রচারিত হতে থাকে, এবং পলাশির যুদ্ধের অর্ধশতাব্দী পরে বাংলায় শিক্ষা-দীক্ষা, সমাজ, সাহিত্য প্রভৃতি নানা বিষয়ে এক নতুন আন্দোলন শুরু হয় --- যাকে ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালির নবজাগরণ বা বাঙালির রেনেসাঁস বলা হয়।" এর সম্যক প্রভাব, আধুনিকতা'র সঞ্চার, ও আত্তীকরণ আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রবীন্দ্রানুসারী লেখকদের মধ্যে প্রত্যক্ষ করেছি; যা পরবর্তীকালে,--পাঁচ ও ছয়'এর দশকে,-- ছড়িয়ে পড়েছিলো বাংলা সাহিত্য নির্ভর চলচ্চিত্র জগতেও। কিন্তু, মৃণাল সেন, এই মর্মে বুর্জোয়া আধুনিকতায় আধারিত পুঁজিবাদ ও পুরুষতান্ত্রিকতাকে ক্রিটিক করতে গিয়ে নিজের ছবিতে ঘটিয়েছিলেন একটি 'এপিস্টেমোলজিকাল চেঞ্জ' : যা, তাঁর সিনেমার বিষয়-চয়ন, সিনেমাটোগ্রাফি, সংগীত, এবং সর্বোপরি রাজনীতি কে একত্রিত ক'রে এক নতুন ভাষা তৈরিকরণে সক্ষম হয়ে উঠেছিলো। স্পিভাক কে অনুসরণ করলে, সোশাল-পলিটিকাল সাইন্টিস্ট গ্রামসি'র (Gramsci) পরামর্শ অনুযায়ী একে এইভাবে ব্যাখ্যা করা যায় : "Instrumentalize the intellectual, in the interest of producing epistemological change, rather than only attending upon the ethical, in subaltern and intellectual alike"। এবং, এই কারণেই মৃণাল সেনের ছবির একটি 'পোস্টকলোনিয়াল এপ্রিসিয়েশন' করবার জন্য, এই পর্যালোচনায় 'কাউন্টারফোকালাইজেশন তত্ত্বের' অবতারণা।
আমরা জানি, ১৯৪৭ এ স্বাধীনতা আসবার সাথে সাথে বহু মানুষ ঘরহীন হয়ে পড়ে, এবং তদানীন্তন পূর্ব বাংলাদেশ থেকে পশ্চিম বাংলাদেশে (অধুনা, পশ্চিমবঙ্গ) স্থানান্তরিত হয়ে যায়; যার ফলস্বরূপ পশ্চিমবঙ্গের আর্থ-সামাজিক শ্রেণীপরিকাঠামো'তে এক নতুন শ্রেণীর জন্ম হয়: যার নাম 'মধ্যবিত্ত'। এই মধ্যবিত্তের শ্রেণী-সাংস্কৃতিক মননের প্রতিষ্ঠায় যা হয়ে উঠেছিলো প্রধান অপরিহার্য, তা হলো এদের নৈতিকতা ও মূল্যবোধ, যা'র মূলে ছিলো বিষমকামের পৌরুষের আধার(hetero patriarchy)। মৃণাল সেন প্রথমবার 'একদিন প্রতিদিন' এ ক্রিটিক করলেন মধ্যবিত্তের মননে গেঁথে যাওয়া এই আদ্যোপান্ত পুরুষতান্ত্রিক মূল্যবোধ'কে : যেখানে দেখানো হয় 'চিনু'র নারীসত্ত্বা কিভাবে, ২৪ ঘন্টার সময়াবর্তে, তাঁর আশেপাশের বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে ঘটতে থাকা 'সাইকিক ট্র্যমা'র মধ্য দিয়ে ক্রমাগত অপরায়িত (otherised) হতে থাকে, এবং কিভাবে ধীরেধীরে চিনু, নারী হয়ে, তাঁর পরিবারের শ্রেণীগত মূল্যবোধের বিপ্রতীপে একজন 'নৈতিক অপর'(moral other) রূপে প্রতিষ্ঠা পায়। অর্থাৎ, চিনু'র বাবা-মা-ভাই-বোন সম্বলিত পরিবারপ্রথার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে বর্ত্তমান 'হেটেরোনরমেটিভ' মূল্যবোধ'কে প্রধান ফোকালাইজার রূপে দেখার পরিবর্তে যদি নারী হিসেবে চিনুর 'এজেন্সি'কে কাউন্টারফোকালাইজ করা হয়, তাহলে 'একদিনপ্রতিদিন' এর মেটান্যারেটিভ হয়তো আমাদের সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মূলস্রোতে প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকা চিরকালীন নারীনিপীড়নের বিকল্প ন্যারেটিভ হয়ে ওঠে। কিংবা ধরুন, 'খণ্ডহর' ছবির মেটান্যারেটিভে সামন্ততান্ত্রিক ধ্বংসাবশেষ এর সাথে জাক্সটাপোসিশন-এ থাকা কেন্দ্রীয় চরিত্র 'যামিনী' : যার পরিদৃশ্যমান বাস্তবতা নাগরিক ইন্টালেকচুয়াল সুভাষের ক্যামেরার লেন্সে হয়তো ভাবের মূর্ছনা জাগায় : এক্ষেত্রে সুভাষ প্রধান ফোকালাইজার; কিন্তু কালক্রমে, ফ্রয়েড'কে অনুসরণ ক'রে যামিনী'কে কাউন্টারফোকালাইজ করলে, দেখা যায় সুভাষের ক্যামেরার লৈঙ্গিক দৃষ্টিকোণে(phallic lens) যামিনীর অপরিদৃশ্যমান, মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা (psychic reality), তাঁর অবদমিত যৌনতা ধরা দেয় না; বরং নেহাতি তা সুভাষের মতো নাগরিক ইন্টালেকচুয়ালদের স্টুডিয়ো'তে শোভাবর্ধক বৌদ্ধিক পণ্য হয়ে ওঠে। 'খণ্ডহর' ছবিতেও যামিনী'র মা'র মধ্যে দিয়ে ঘটা 'সাইকিক ট্র্যমা' যামিনীর সত্ত্বার অপরায়ন কে ত্বরাণ্বিত করে। এই ট্র্যমা লাকাঁ'র মনসমীকক্ষণ(psychoanalysis) এর পরিভাষায় যা 'রিয়েল' তারই অন্তর্গত : এমন এক 'রিয়েল',--- যা অসম্ভব এবং অবাস্তব---, যার ভাষায় চিহ্নিতকরণ (signification) সম্ভব নয়; যেমন সুভাষের 'হেটেরোনরমেটিভ' লেন্সে যামিনী'র মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতা হয়ে ওঠে 'রিয়েল', অর্থাৎ 'লাকানিয়ান রিয়েল' যা সুভাষের ভাষায় থেকে যায় অধরা। এবং তাই হয়তো বাস্তব'কে প্রতীয়মান করে তোলার প্রয়াসে মৃণাল সেনের ছবির চরিত্রগুলিতে ট্র্যমা'র এই পৌনঃপুনিক আবির্ভাব। কাউন্টারফোকালাইজেশনের দ্বারা এক্ষেত্রে স্পষ্ট প্রতিভাত হয় নগরমননের বুর্জোয়া আগ্রাসনের দ্বারা (যামিনীর) সাবঅল্টার্ন ( নারীসত্ত্বার) অপরায়ন(otherisation)। প্রসঙ্গগত অপরিহার্য হলো কে.কে. মহাজন এর স্থির চিত্রণ (still photography) এবং ভাস্কর চন্দ্রভারকর এর 'মিনিম্যালিস্টিক' সংগীতের আবহ যা আরো অতলস্পর্শী করে তুলেছিলো যামিনীর অবদমিত যৌনতার সূক্ষ্ম অভিব্যক্তিগুলিকে। সবশেষে আসা যাক মৃণাল সেনের 'অন্তরীন' ছবিতে, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্র, এক অনামা নারী, শ্রেণীচেতনায় মধ্যবিত্ত, এবং আরো একবার বিষমকামের পৌরুষ(heteromasculine/ heteropatriarchal) নির্ঘোষিত ক্ষমতার পরাক্রমের শিকার, গৃহবন্দী। বহুতল কোনো এক অট্টালিকায় থাকা এই (নারী)চরিত্রটির অপরায়িত সত্ত্বার একাকীত্বের সাথে জাক্সটাপোসিশনে(juxtaposition) দেখানো হয়েছে প্রাসাদোপম কোনো এক রাজবাড়ির নিরবিচ্ছিন্ন শূণ্যতা। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, 'সক্রিয় দর্শক' হিসেবে, এই মেটান্যারেটিভে (নারী)চরিত্রটি'কে কাউন্টারফোকালাইজ ক'রে, তাঁর স্বীয় 'এজেন্সি'কে আবিষ্কার করার প্রয়াস করলে, বোঝা যায় সে তাঁর অবদমিত যৌনতা নিয়ে কোনো হতাশাব্যাঞ্জক মনস্তাত্ত্বিক বাস্তবতায় সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের পুরুষতান্ত্রিক শৃঙ্খল হতে উত্তরনের প্রতিস্পর্ধা দেখায়, যখন গল্পের সেই অজ্ঞাতকুলশীল পুরুষচরিত্র'টির সাথে নিজের দূরভাষ সংখ্যা আদান প্রদান করে। প্রসঙ্গত অবশ্য উল্লেখ্য হলো, এখানে নারী চরিত্রটি কোনো একক সত্ত্বার বিগ্রহবিশেষ নয়, এবং সেহেতু অনামা।
অর্থাৎ, যথাক্রমে 'একদিন প্রতিদিন' ও 'খণ্ডহর' এর চিনু ও যামিনী'র নারী সত্ত্বার ধারাবিবর্ত্তন ও একক প্রতিবাদ যেন 'অন্তরীন'-এ এসে বহুত্বে সমাপতিত হলো। এভাবেই, লিঙ্গ(phallus) নির্দেশিত এই 'নর্ম'(norm) এর বিপ্রতীপে থেকে সত্ত্বার অপরায়ন, এবং তদ্দ্বারা প্রতিনিয়ত পুনরুৎপাদন(continuous reconstruction) এর মাধ্যমে নির্মিত হয় নারী, যা ফ্রয়েড(১৯৩৩) এর ভাষায় হলো, "a woman is not born, but 'made' "; (যদিও এক্ষেত্রে বলতেই হয় যে ফ্রয়েডের মনমীক্ষণের ভাষা ক্রিটিকালি লিঙ্গকেন্দ্রিক(phallocentric) );বরং, নারীত্বের স্বীয় 'এজেন্সি'কে মর্যাদা দিয়ে, সত্ত্বার এই পুনরুৎপাদনের প্রক্রিয়া'কে সিমন দ্য বুভয়্যার বলেছিলেন, "one is not born, but rather becomes a woman" (The Second Sex, 1949) যে উক্তিটি পরবর্তীকালে 'সেক্স/জেন্ডার' তারতম্য এর আন্তর্দান্দ্বিক সম্পর্ক বোঝাতে প্রণিধানযোগ্য হয়ে উঠেছিলো।
প্রধান নথিসমূহ :
১) An Aesthetic Education in the Era of Globalization, by Gayatri Chakravorty Spivak.
২) Lacan by Dr. Ramesh Chandra Mukhopadhyay.
৩)Femininity: Sigmund Freud; Introductory Lectures on Psychoanalysis(1933).
৪) মলয় রায়চৌধুরী : প্রবন্ধ সংগ্রহ, ১.
২) Lacan by Dr. Ramesh Chandra Mukhopadhyay.
৩)Femininity: Sigmund Freud; Introductory Lectures on Psychoanalysis(1933).
৪) মলয় রায়চৌধুরী : প্রবন্ধ সংগ্রহ, ১.
কৃতজ্ঞতা স্বীকার : সন্মিত চ্যাটার্জী।
মন্তব্যসমূহ