রাজদীপ রায়
অপেক্ষা
শেষরাতে একটা বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছি।
জেগে দেখি,চোখ থেকে চশমা একটু ঝুঁকে গেছে...
যেমন রাস্তার থেকে বেশি হেলে থাকে ব্রিজ...
তারপর খুব হাওয়া দেয়...
চাপ চাপ ছাই উড়ে আসে
যেন একটি সুপ্রাচীন গ্রহ পুড়ে যাওয়ার গন্ধ
যে শুধু ঘুরছে কোটি কোটি বছর ধরে,তবু কারো দেখা পায়নি...
ভয়
ভোররাতে ডেকে ডেকে হাঁফিয়ে পড়েছে কাক
তবু কোনও বাড়ি থেকে তাকে জল খাওয়াতে আসেনি
ভয়ানক স্বপ্নে সকলেরই দম বন্ধ... ঘড়ি কাঁটার অতীত...
টিভি পুড়ে যাচ্ছে বুকের ভেতর
পাখি ডাকছে, তবু ভোর থমকে আছে আগের স্টেশনে...
জিন
সাল সাত হাজার দশ।
কোথাও একফোঁটা মাটি নেই,ঘাস নেই...
কোথাও গোপনে বীজ একবিন্দু জলের দিকে যেতে যেতে থমকে গেছে...
মরা সাগরের মাটি উড়ে আসছে চাঁদ থেকে...
গাছের দুঃস্বপ্নগুলি ফসিল হয়েছে...
তার ভেতর আটকে যাওয়া একটা মশার শরীরে
মানুষের রক্ত ছটফট করছে কোটি বছরেরও বেশি...
তাকে শিহরিত করবে এমন হৃদপিণ্ড জন্মায়নি এখনো...
সংবাদ
ভোরের কাগজ ভেসে এসেছে স্নানের গন্ধ নিয়ে
সারা গায়ে রাংতা কালো কালো মুদ্রণের পুঁজ...
বিভিন্ন খবর ভাসে একাগ্র চিলের তীক্ষ্ণতায় ।
কেউ খুন হয়ে যায়, কেউ ফিরে পায় আজীবন
তবু ভিক্ষে চাওয়া ফকিরের অন্ধ চোখে ধেয়ে আসা ট্রেনের মতই
অতর্কিত হয়ে পড়ে শিরোনামে থাকা
আজ বিসমিল্লার নিকাহ
আজ রবিশংকর সেতার বাজাবেন...
মন্তব্যসমূহ