হাসান রোবায়েত
রুজা
১
তোমাকে ডাকছি, জান্নাত
আমাদের মিডিয়োক্রিসির দিনে—
কত কত মৃত্যুর ঊনপরিবেশ
অসংখ্য যুদ্ধ-বাহিত রেণু
চিরকাল ওড়ে এইখানে, এই
ভূয়সী হাওয়ার নিচে একা—
আমাদের দেখা হয়েছিল
ভৃত্যমান এক না-পরিবেশে
মাঝখানে পড়ে আছে ট্রেনে কাটা বাঁশি
অকথ্য ভীড়ের এই রেলপ্রতিবেশ—
চোখের আদর হয়ে ফিরে আসে
নীল উরু, অন্ধ জুলাই-কাঠ—
আত্মজৈবনিক কোনো রাতে
আমরাও বিষণ্ন হই সহসা—
২
এই তো, আমারই পাশে যে রৌদ্রশিস ধরে উঠে গেছে শিমলতা—ক্রমশ
তাদের বক্রতা নিরর্থ এক শূন্যে গিয়ে শেষ হয়—তার ফুলের কাছে
আমারও বলার ছিল:—‘অতদূর উন্মীলনে তুমিও হতে পারো দণ্ডিত,
অপার বর্তুল—'
তাদের বক্রতা নিরর্থ এক শূন্যে গিয়ে শেষ হয়—তার ফুলের কাছে
আমারও বলার ছিল:—‘অতদূর উন্মীলনে তুমিও হতে পারো দণ্ডিত,
অপার বর্তুল—'
যেন প্রতিটা মরণশেষে ফুটছে কার্পাস—
তোমাকে ডাকছি, জান্নাত—চিরকাল ঢেউ দিয়ে চলে যাও বিরহী ঘুঙুর
৩
এমন উড্ডীন নীলে
সমস্ত ফুল
মহাশঙ্খের ভেতর
আরো এক অন্ধকার—
অনিশ্চিত যাত্রীদল আমরা দেখেছি কাঠে, বিমবর্গার ছায়ায়
গুল্মেরা বুঝেছে ভালো—
পাথরে বিম্ব রেখে—কাঁপে দিন—নিষ্পত্র হাওয়া
কখনো তন্দ্রা ভেসে যায় বৃষ্টিতে—পারাপার ছাড়া
৪
তাসের ভেতর চুল খুঁজছে যে মেয়ে
সম্পর্কে তুমি তার বাংলা গান
যেন তাকিয়ে থাকার দিকে লেবুটির কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই
৫
উপরের বারান্দায় মেয়েটা চোখ বন্ধ করে
মুখস্থ করছে আয়নার উপপাদ্য—
মন্তব্যসমূহ