প্রগতি বৈরাগী



প্রাক্তন


(১)
তার মনে প্রেম আর জমেনি কখনও
ওসব খনিজপল বহুদিন ম্লান হয়ে গেছে

সে এখন স্ফটিকের ফুল,...অতটা অটুট-
অ্যাসিডে ডুবিয়ে রাখা স্বচ্ছ কাচেরচোখ,
সময়ে অফিস  করে,
অঝোর ক্লান্তি নিয়ে ফিরে আসে,
টেবিল সাজায়

ঘরকন্নার মাঝে অপার শান্তিজল, লক্ষ্মীস্বরূপিণী,
সমস্ত সিল্যুয়েটে বহুবর্ণ, দ্যুতিময় আলো

মাঝেমধ্যে তবু কী যে হয়...
গহীনে চুলের মত চিড়
এবাদতখানা জুড়ে, নিঠুর রুদালি বেজে যায়।

(২)
আজ এত বছরের পর,

শোভমান চোখাচোখি, ধাবমান কলকাতা ট্রাফিকে
তবু ঠিক ছিঁড়ে যাচ্ছে, টুংটাং বেঁধে রাখা তার

আস্তে আস্তে ঠিক ফিরে আসছে জ্বর

(৩)
হে প্রিয়বরেষু, তিষ্ঠ ক্ষণকাল
শেষের সায়ংবেলা আজও মনে পড়ে
দুয়ারে চিত্রসম আমি
দরবিগলিতধার, নয়নযুগল

সাঁঝ নেমে এসেছে কপালে
বেসাতি গুটিয়ে নিয়ে উঠে গেলে তুমি
তোমার আদল থেকে, ঝরে গেল শেষ খড়কুটো

শহরতলিটি জুড়ে ম্লানমুখী বিধবা বিকেল

(৪)
তোমাকে নিজের বেশি দর্পণে দেখেছি, সারথি
এ জন্মতোমার কাছে
অপ্রতীম সালঙ্কার রথ
নারী... শুধু অতিক্রান্ত পথ

এখন বিছিয়ে আছে সত্যভামা, রুক্মিণী
অষ্টভার্যা, মোহময়ী নারী
তার আগে ছিল চন্দ্রাবলি
দর্পণ আয়ুধ তুলে ধরে
কালের গর্ভ থেকে উঠে আসে মীরাবাঈ
আরো আরো কত মায়াবতী
দৃষ্টি ঠিকরে যায়,ঝলসানো চোখ খুলে রাখি
নিগূঢ় আঁধার জুড়ে শীতল ওষধিসম
দেখি এক বালকের মুখ...

মোহান্ধ, বীতশোক, নিঃশর্তে লিখি দাসখত
এ যমুনা, বেণুবন, বান্ধুলির ফুল

তোমার প্রেমের থেকে, মোহনবাঁশিটি ছিল সৎ


মন্তব্যসমূহ

vivaswan datta বলেছেন…
বড্ড ভালো ।

জনপ্রিয় লেখা