জেম সাহা-র কবিতাগুচ্ছ | আঙ্গিক অনলাইন
যদি স্পষ্ট মনে পড়ে/ জেম সাহা
১
মোটর নষ্ট তাই জল নষ্ট হলো সারা বিকেল
ওইটুকু সময়ের মধ্যেই কেউ কেউ পরিস্কার বলে ফেললো
অনেকেই ভাবলো জটিল রোগের সঙ্গে সত্যিই পেরে ওঠা মুশকিল
এই অন্ধকারের মধ্যেও নাম বলবো না কিছুতেই তাই দাঁত জুড়িয়ে এলো
খাবার রয়েছে প্লেটে অথচ খাবারের বৈশিষ্ট্য তোমার মধ্যে জাগছে না কিছুই
এই দেখে আমার ভীষণ কান্না পেলো আমি ঘুমের ভেতর থেকে সেই শব্দ পেলাম
সৌন্দর্যকে কাঠের কাছাকাছি নিয়ে দাঁড় করালেও মানুষ এক মিনিটের জন্যও ফিরে আসে না
রাস্তা দিয়ে গটগট হাঁটতে হাঁটতে সেখানে চলে যায় যেখানে সে কথা দিয়ে রেখেছে, রাত কাটানোর কথা
২
উচ্চতায় ছেড়ে দিয়ে বাগানের কিছুটা স্পন্দন ফিরে এলো
আগামী বছর থেকে সেখানেই ট্যুরিস্টরা গিয়ে থাকা খাওয়া সারবেন
এবার কাজ অন্য, প্রসঙ্গহীন মাঝখান থেকে কেউই কথা শুরু করছে না
ক্ষেতের পাশে স্মৃতির মতো ঘুমিয়ে রয়েছে যারা তারাও উঠে যাচ্ছে না কিছুতেই
আমি আমাকে ভয়ংকর ভাবে দেখতে চাইছি কারণ আজ বিকেলেই তো ডারউইনের তত্ত্ব আওড়ালাম
এখন ভাবনাকে আমি অর্থের খুব কাছাকাছি রাখছি যেকোনো সময় ট্যুরিস্টরা চলে আসতে পারেন এই ভেবে
৩
যেসব পুকুরের জলে হাত পা ধোয়া হয়েছে সেখানেই তো ছিলাম আমি
এখনও পুরোটা সরে যায়নি, যদিও এখন আমি জানলার দিকে ক্রমশ
সন্ধ্যার দিকটায় পাখিরা ঘরের দিকে যায়, আমার মায়ের শব্দ দূর থেকে শোনা যায়
কত সহজেই তুলনা করতে করতে মাঝখানের মাধ্যম সরে যায় এবং ভয় পায় সকলেই
বিরক্তি তো রাস্তাটুকু জুড়ে সারিসারি গাছ যা আরেকটি দিক থেকে বন্ধুরা দেখছে
আমি ওদের প্রশ্নের উত্তর দিতে বাবার জামার ভেতর থেকেই শেষমেশ ছায়া বের করে নিলাম
ওরা কেবলই শুশ্রূষার কথা ভাবলো আর আমি ছায়া রেখেই আলমারি বন্ধ করে দিলাম
৪
এখনও স্বপ্ন চলে আসেনি এই সময়টুকু বুনোগন্ধে মোড়া
ঢাকনা খোলার শব্দ সস্ত্রীক শুনতে পেয়েছে কেউ কেউ
তারা এখন অন্য গলি দিয়ে যাতায়াত করছে অপরিচিতির সীমানা এইটুকুই ভাবলে হাসি পায় আমার
আকাশ ভর্তি করে পাখিরা উড়ে যায় আমি জলের মতো দেখি
অন্ধকার গতিময় পরিণামের দিকে যেতে যেতে কোথায় চলে গেলো!
আমরা যাঁরা নিজেদের তারপর থেকে একলা ভাবতে শুরু করলাম, তারা কখনোই মুখোমুখি পর্যন্ত হলাম না
একত্রে থাকলে স্বপ্ন চলে আসতো কিন্তু আমরা সেসব না করে নিজেদের শুধুই বোকা এবং চালাক ভেবে গেলাম সময়ে সময়ে
৫
পাথরের সাথে কোনোরকম তুলনাই করা যায় না কারণ সেটা ছাই রঙা
আর আমি যদি সত্যিই হই তাহলে আমি আর কখনোই মিথ্যে হতে পারিনা
কাঠের ব্রিজের মতো পরিকল্পনা আমাকে জড়িয়ে ধরছে
একটি হলুদ বাটিকে স্পর্শ করতে করতে আমি নাকি অনুকরণ হলাম!
সেদিনই আবার গ্যাস ফুরিয়ে গেলো আর এই দেখো বন্ধুরা আমি মাটির প্রলেপ দিচ্ছি হাঁড়িতে
এও আমার চতুরতা, শুধু মাত্র হাত পা নেই জন্য কেউ ঘৃণা করছে না এই যা
এখন বোধহয় জানানোর কথা যে, রাস্তার যে সকল মানুষকে নিয়ে আমি এত কথা বলি রোজ তাদের কাউকেই আমি ঘর পর্যন্ত গিয়ে দেখে আসি না
মন্তব্যসমূহ