তন্ময় ভট্টাচার্যের কবিতাগুচ্ছ | আঙ্গিক অনলাইন
প্রশিক্ষণ শিবির
তন্ময় ভট্টাচার্য
এক
ঝাঁপ দিলেই মৃত্যু হবে, এমন কোনো কথা নেই
এমনকী, মৃত্যু মানেই মরে গেল—তাই-বা কেমন কথা
বরং উল্টোটাও দেখুন
যতক্ষণ ঝাঁপ চলছিল—অধোগতি, সাময়িক
তারপরেই মুক্তি, শূন্যে ভেসে যাওয়া
অল্প একটু কষ্ট করে
যদি চিরকাল ওড়ার লাইসেন্স মেলে
যে রাজি হবে না, হদ্দ বোকা
যতক্ষণ-না স্বীকার করে, আমরাই ঠিক
প্র্যাকটিস চলুক
আলতো ধাক্কা দিলাম, এই—
দুই
একেকজন ঝাঁপ দিচ্ছে, আর
হাউইবাজির মতো উড়ে যাচ্ছে আকাশে
দু-একজন এর মধ্যেও বেয়াড়া
ছটফট করতে থাকে, মাটি ছেড়ে নড়ে না মোটেই
এখান থেকেই আসল সমস্যার শুরু
লোকচক্ষু ফলাফল দ্যাখে, ট্রেনিং দ্যাখে না
বোঝে না, ড্যাম্প কাটাতে এসব কতটা জরুরি
বিস্ফোরণের পর, বাজি কারখানায়
যেরকম মিডিয়া আসে, পুলিশ আসে
বৈধ হয়ে যায় তারপর...
তিন
দিনে-দিনে স্যাটেলাইট হয়ে উঠবে
আপনাদেরই চারপাশে চক্কর কাটবে তারপর
সফল উৎক্ষেপণ শুধুমাত্র এখানেই সম্ভব
যদি বিশ্বাস না-করেন, আপনার সন্তানটিকে
এক্ষুনি পাঠিয়ে দিন আমাদের জিম্মায়
এমন ফেরাব
ফেরার অপেক্ষাই করতে হবে না আর
চার
আজ নিজে উড়বে, কাল অন্যকে ওড়াবে—
সহজ ফর্মুলা মেনে কতজন পাখি হয়ে গেল
এই যে কাঁদছি, এও তো আসলে পাখিডাক
আমাদের ব্যঙ্গ, ঘৃণা—সবই কিন্তু পাখির ধরন
মানুষ থেকে পাখি হওয়া সহজ কথা নয়
পাখি থেকে মানুষে ফেরা তার চেয়েও কঠিন
তবু আমরা চেষ্টা করছি, যতটুকু সংশোধন হয়
এরপর থেকে আর পাখি বানাব না
পতঙ্গ বানাব, কিংবা ক্ষুদ্র কোনো কীট—
পায়ে পিষে ফেলা যাবে
পুরোটা প্রকাশ্যে আসবে না
মন্তব্যসমূহ