শঙ্খজিৎ-এর কবিতাগুচ্ছ | আঙ্গিক অনলাইন
কবন্ধ রাষ্ট্রের সামনে
শঙ্খজিৎ
১.
রাষ্ট্র জানে,
মানুষের মাংস খাওয়া খুব সহজ,
যতদিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব থাকে!
২.
কে কীভাবে ভাঙবে,
কার হাতুড়ির ঘা থেকে হুড়মুড়িয়ে ভাঙবে,
রাষ্ট্র এটাই জানে না!
৩.
আগুনের অনেকরকম রং—
গাঢ় লাল না হলে,
আগুনের কথাবার্তা শুরু হয় না!
৪.
বিবাহবিচ্ছেদ,ঋণগ্রস্থতা,হতাশা—
রাষ্ট্রের শরীর থেকেই নির্গত হয়
এসব অন্ধকার!
৫.
মা-র প্রেসার ওষুধের কৌটো,
বাবার বিষণ্ণ চশমার কাচ
রাষ্ট্র নিজেকে লুকোতে পারেনি কোনোদিন
৬.
সন্তানের লাশ টানতে টানতে,
আত্মহত্যা দেখতে দেখতে,
ভারতবর্ষ জেনে গেছে—বিপ্লব অবশ্যম্ভাবী!
৭.
যখন তুমি বিপ্লবী হয়ে উঠবে
বাড়ির লোকেরাও হবে
পাক্কা শুয়োরের বাচ্চা!
৮.
প্রেমিকার শরীরে সুগন্ধি;
তোমার বমি পাবে—
গন্তব্য দেখতে পাবে সহজেই!
৯.
প্রতিবেশীর বুক হয়ে উঠবে
কুকুরের লালসা,
সে রাষ্ট্রের শরীর; আমরা অঘটন!
১০.
একমাত্র বিপ্লবী-ই জানে,
ঘরপোড়া আগুনের ব্যবহার!
১১.
কবিকেই জানতে হয়,
কবিতা সৎকার করার প্রণালী!
১২.
সমস্ত প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিই,
একই আঁতুড়ঘরের শাবক!
১৩.
চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ে যুদ্ধ;
কান্নাও নয়—নোনা কুয়াশাও নয়।
রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের সাথে যুদ্ধ...
১৪.
পুঁজিবাদ কী সহজেই —
মানুষকে কুকুর বানায়।
কুকুর ঘুরপাক খায় গোলার্ধ থেকে গোলার্ধে...
১৫.
যুদ্ধ পুষে রাখো কমরেড—যুদ্ধ!
যুদ্ধ ছাড়া,
মুক্তির কোনো পথ নেই।
১৬.
বিপত্তারিণীর লাল তাগা
আত্মীয়স্বজনের প্রলাপ
ইত্যাদি সেফটি ভালবেরও এক্সপায়ারি ডেট এসে যায়...
১৭.
স্বজনের পরিবর্তে শ্মশান মনে হয়েছে
মানুষ পুড়ছে, সভ্যতা পুড়ছে।
রাষ্ট্রের শরীর কবন্ধ—অথচ মস্তিষ্ক চেনাতে চায়!
মন্তব্যসমূহ