অনাবিল মুখার্জির কবিতাগুচ্ছ | আঙ্গিক অনলাইন



অনাবিল মুখার্জি

এক


সবাইকে ছেড়ে আসি বেড়ালের মতো

শহরে খাবার খেতে ফিরি

ধীর লয়ের প্রণালীগুচ্ছ বাছি


আগে চলে আসে খাবার তার পর পাত্র

বিচ্ছিন্ন মোরগের স্তন

বিনির্মিত সবজি দিয়ে চেপে রাখি হাসি


আনুভূমিক পাতে বসে সদৃশ দম্পতি

সূচিবিভ্রান্ত গ্রীবায় দেখছে সহজে উচ্চারিত অমেরুদণ্ডী কোনো পদ

বাড়ির অমতে বেছে নিচ্ছে আমার মতো কিছু

আর চলে যাচ্ছে একে অপরকে ছেড়ে

এক টেবিল থেকে আরেক সমুদ্রে


দুই


সে আমায় বলেছিল

ফুল শুধু পড়ে গেলে তুলো

যেভাবে মুকুল জাগে

কারও কানে দুল হয়

সমস্ত ঘোড়ার ভেতর

দৌড়ে যায় সহস্র ঘোড়ার

ধুলো


তিন


পদবী সামান্য নাম

পথের চেয়ে বেশি ঘাট হয়ে আছে

ভালোবাসা আর ভালোবাসি না

আসলে সমকামী

ভ্রুকুটি মানে বেড়ালের

মানুষের গায়ে হাত তোলা

যে যত্ন করে, সে

চিঠি লিখতে শেখেনি

যার মনে পড়ে না

সে কিছুই ভোলেনি

স্মৃতি যতটা জলের

ততটা টেলিস্কোপের

সাদা চুল

টাক না পড়ার অজুহাত

বিভীষণ একটি ছেলেমানুষী

ভালো থেকো একটি

প্রাচীন ক্রিয়াপদ

দেখি, যতদূর যাওয়া যায়ের প্রতিশব্দ

পাথর ছুড়ে দিলে ধর্মের

রেখে দিলে পুজোর


চার


নখদর্পণ থেকে উঠে এসেছে বন্ধু

শুনতে শুনতে গ্রহণ জাগছে জলে

আমার সমস্ত উত্তর এখন থেকে, এমনি


তবু একটা বয়সের পর ব্যবহার করতে পারি তোমার বানান। কিছুক্ষণের জন্য লুকিয়ে রাখতে পারি সম্পর্কের থুতু জানালা থেকে সরে এসো, বৃষ্টি পড়বে। কড়াই থেকে ছিটকে পালাবে হলুদ খরগোশ। এরমই কোনো দিনে পুরুষের চুল বড়ো হয় আর ছেলেদের শিরা ফুলে ওঠে মেয়েরা তাকাবে বলে।


পাঁচ


বিভিন্ন পৃষ্ঠার ধারে রাখা চুলের ভঙ্গিমার মতো কিছু

শীতের অবশিষ্ট তাপে সে নিজের মতো সাবধান হয় এবং না

উত্তরের অসংখ্য গ্রহের আলোর ভেতর তোমার অতিরিক্ত বাড়ি,

রিকশাওয়ালার আরও একটু ভেতরের সমান্তরালে গিয়ে নামি

তোমার একটা মাত্র স্কুলের ভেতর

তোমার একটা মাত্র হাত রেখে গেছ

জানালা বন্ধের আগে

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা