মহাশ্বেতা আচার্যের সিরিজ কবিতা "আট কুঠুরি নয় দরজা" | আঙ্গিক
মহাশ্বেতা আচার্যের সিরিজ কবিতা "আট কুঠুরি নয় দরজা"
১)
এই ছোট্ট মাছটির প্রতি
তোমার ভালোবাসা
নেমে আসে না, কোমলধৈবত?
কোথায় কোন দীর্ঘ দুপুর কাকে গান শোনায় কীভাবে কখন
ওসব তোমার নয়... পনেরো আনা জীবন!
আবেষ্টন আর প্রেমের ধারে চব্বিশ ফ্রেমের শূন্যতা
ওই দেখো, ছোট্ট মেয়েটির প্রতি তোমার ভালোবাসা
গড়িয়ে পড়ছে, শুধুই গড়িয়ে পড়ছে
২)
ধরো একটা তিনভুবনজোড়া মাঠের ধারে দাঁড়ালাম,
ছুটতে শুরু করলাম,
আর কতকগুলো বাংলা অক্ষর নিজেদের ওজন বুঝতে না পেরে
হাই-রাইজার হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো
এই সময়,
ঠিক এই সময়
কলকাতার রাস্তা
আমাদের সব ভালো-থাকাগুলো লুকিয়ে ফেলছে পিচ-কংক্রিটের নিচে
এই যে এক-জীবন জেহাদ ঘোষণা করেছিলে, তাই
সমস্ত প্রোমোটার ঠিক করেছে
তোমাকে তারা হারিয়ে দেবে চিরকাল।
আমার হলুদ বাড়ি ওরা ভেঙে দিচ্ছে অমিতাভ
তবু একটা খালি ঘরে বসে আমরা আউড়ে যাবো
– কী যেন?
– ‘এসো সুসংবাদ এসো’
৩)
ওহ, বলা হয়নি গায়ের অসংখ্য আঁচড়ের কথা,
যারা অজান্তে ফুটে ওঠে তারার মতন, একা
দুঃখের দিনে আমার ওপর তারা নকশা টেনে দেয়
আর আমি ভাবি তোমার প্রথম বিস্ময়ের কথা!
ভাবি লালচে পাড়ায় আণবিক আলো ঝলসে ওঠার কথা
ওদিকে যুদ্ধের-পরের-শীত নিয়ে কত গল্পই তৈরি হচ্ছে…
আমাদের পোস্ট-নিউক্লিয়ার চলচ্ছবি, ধ্বংসের আওয়াজ
আজকাল যেন শুনেছি খবরে
৪)
তাই তো অনেকটা খেয়ে উঠে
শীতের কুকুরের চোখে চোখ রাখতে পারো না।
জেনে রাখো, ভালোবেসে চিরকাল ঐ
লাল কার্পেটের ধারে তোমাকে
দাঁড়িয়েই থাকতে হবে
কেউ তোমাকে কোলে বসতে বলছে না আর…
এই যে রাস্তার ছোট্ট মেয়ে!
তোমার হাত ধরে সবাই বলুক ক্ষমা ক্ষমা -
এক পৃথিবী ভুলে যাওয়ার অতলান্ত ক্ষমা
মন্তব্যসমূহ