মধ্যখণ্ড | রাজর্ষি মজুমদারের কবিতা | আঙ্গিক
১)
‘সময়ে প্রকাশ পাবে -’
এইটুকু বলে তিনি নিদ্রা গেলেন। কালো মেঝের ঘরখানি আরও শীতল হয়ে এল - জানালার থেকে সরে গেল রোদ - তার যে বিশ্রামের প্রয়োজন।
এ আশ্চর্য কিছু নয়, মন্দিরে রোজ এরকম কত কিছু ঘটে যায় - আয়োজন ছাড়াই প্রসাদ জুটিয়ে দেন গোপীনাথ - অগণিত প্রাণ রোজ সেবা পায় এখানে প্রভুর চোখের জলে পূজার ফুল ফুটে ওঠে।
২)
সমুদ্র হাওয়ার ঢেউ তার গা ছুঁয়ে যায় - নোনা হয়ে ওঠে দুই চোখ - তিনি দাঁড়িয়ে দেখেন জগন্নাথ সেজে উঠেছেন আরতির সাজে। নীলাচল - এ ভূমা জগৎ সেই প্রভায় আলোকিত। তনুদেহখানি আনন্দে জাগে, যেন নূপুর বেজে ওঠে হ্লাদিনীর পায়।
শয়ান হবার পর মন্দিরে যখন আঁধার - তটে পূর্ণিমার জ্যোৎস্না খেলা করে। সেই অনন্তের মধ্যে প্রভু আবার জগন্নাথকে খুঁজে পান, বালির নৈবিদ্য তরঙ্গের কীর্তনে চিরন্তন পূজা হয়ে চলে।
মন্তব্যসমূহ