তিতাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা | আঙ্গিক


হোঁচট 


পায়ের দোষ দিতেই-

রাস্তা আরও সরু হয়ে যায়।

ইঁটের টুকরোগুলো হাসতে শুরু করে।

পাথর, পেরেক বুক চিতিয়ে দাঁড়ায়। 


পায়ের দোষ দিতেই-

হাত কাঁপে,

বুকের শব্দে

যুদ্ধ ফেরত বিমান থেকে মাথার চুল অবধি সতর্ক হয়ে ওঠে।



ম্যাজিক 


এইসব স্পর্শ মেঘ

বৃষ্টি হওয়ার আগেই ভ্যানিশ 

প্রেমিকের চুম্বন সন্ধানে। 

অবশ সমুদ্রের গভীরে 

সে চুম্বন পুরাকালে লুকিয়ে রেখেছিল সুদর্শন দৈত্য। 

রোজ, স্বপ্নে তার নাগাল পাওয়ার জন্য দৌড়ায় কত না মেয়ে!

বুকের আঁচল বাদামের খোসার মতো মৃদু দোলে...


দোলে 

আর 

উল্কা হয়ে যায়!



ছন্দ সম্পর্কিত 


তোমার অস্তিত্বের দিকে তাকালে

হৃদয়কে ধিক্কার দিতে দিতে থুতু ফুরিয়ে আসে।

রক্তিম তরলের ঝলকানি সামলে

ছায়াপথে নেচে ওঠে সুশ্রী তরুণী।

ব্যাধের ছিলায় পাখি এসে বসে স্বতঃস্ফূর্ত!

শিকার ম্লান হয়ে, 

একটি শুকনো বোগেনভিলিয়া ডালের কথা মনে পড়ে যায়!

কালো হতে গিয়েও যে ডাল সবুজের নিশ্চিন্ত ছন্দটি ছাড়তে পারেনি।


মন্তব্যসমূহ

অচিন্ত্য রায় বলেছেন…
প্রতিটি কবিতাই ভালো
Niloy Nandi বলেছেন…
ভালো লাগলো তিতাস

জনপ্রিয় লেখা