অনধিক ৩০০ শব্দে একটি ক্ষমার জন্য আবেদন | ইন্দিরা চৌধুরীর কবিতা | আঙ্গিক
১)
ঘুমোও,
ঘুমোও।
ঘুমোলে সব ঠিক হয়ে যায়।
পৃথিবীর স্বাদ এখনো জিভে লেগে আছে?
তাই নিয়ে চলো জনহীন নিজস্ব দ্বীপে,
যেখানে কেউ কেউ বলেছিল গীতাঞ্জলি নেবে।
রবীন্দ্রনাথে এখন আর বিশ্বাস করোনা, ঠিক এতটাই বড়ো হয়ে গেছ!
অহেতুক জেগে আছো,
ঘুমোও, আরো ঘুমোও।
ঘুমোলে বয়স সারে।
ঘুমোলে তুমিও ঠিক সেরে যাবে,
একদিন।
২)
ফেরার মাঝে চেয়ে আছে একখানি পাপ,
রাস্তা পাহারা দিচ্ছে এমন।
সমস্ত ফেরাকে লুকিয়ে ফেলছে,
গায়েব করে দিচ্ছে অঙ্গুলিহেলনে, পাপ।
একখানি পাপের তরে কতখানি বেঁচে ফেললাম,
এখন দেরি হচ্ছে বলে তাকে কি অগ্রাহ্য করতে পারি?
পাপ, নিটোল পাপ,
দেখলে আদরের ইচ্ছা জাগে এমন,
কচিবয়সের নিজের ছবির মতো,
ঐ তো বেঁচে আছে, ঘরের কোণে চিনামাটির ফুলদানি সেজে।
কোথাও। যাচ্ছে। না।
৩)
একটা মৌমাছির মতো কথা
ভনভন করছে।
মৌ মৌ করছে না।
অহেতুক তাপ বাড়ছে সবকিছুর।
গনগনে একটা দেহ থেকে ঝরে পড়লাম মাটিতে।
গনগনে একটা ঘর।
সবাই এখন লাল রঙের।
লাল লাল চাঁদ তারা আকাশে পানের পিক ফেলে ঠোঁট মুছে নিচ্ছে সহজে।
পিছু ধরলেই নেই। কোনো কিছু নেই।
ছায়ার পিছু দুকদম এগোলে সে নিজের ছায়া হয়ে গলা থেকে লটকে পড়ছে।
তার পা ছটফট করছে হাওয়ায়, জিভ বেরিয়ে আসছে, চোখ বিস্ফারিত।
তার দম একটা ফুরফুরে প্রজাপতি হয়ে
পেট থেকে বেরিয়ে এলো অনাত্মীয় বাতাসে।
এ যেন সে-ই, প্রথম চ্যুইংগাম চিবোতে শিখিয়েছিল।
আলাদা করে বলতে ভোলেনি, গিলো না।
সবকিছু গিলে ফেলতে নেই।
কিছু কথা থুঃ থুঃ করে ফেলে দিতে হয়।
ছবিঃ সংগৃহীত
মন্তব্যসমূহ