একটি না-হওয়া ক্লিন বোল্ড | তন্ময় ভট্টাচার্য | আঙ্গিক ব্লগ



সে ছিল এক মঙ্গলবারের সকাল। কিশোরগঞ্জ সদর থেকে ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের যে রাস্তাটা হোসেনপুরের দিকে চলে গেছে, সেই রাস্তারই একটা স্টপেজ ‘আদু মাস্টারের বাজার’-এ নেমেছি। খানিক এগোলেই বাঁ-দিকে একটা পথ পাব, আমাদের গ্রামে যাওয়ার। তখনও জানতাম না অবশ্য। আদু মাস্টারের বাজারেই একটা চায়ের দোকানে গিয়ে বসলাম। ‘চাচা, চা দিয়েন। বিস্কুট কী আছে?’ বেড়ার সেই দোকানের এককোণে তখন চলছে টিভি। এলাকার কিছু মুরুব্বি, খাস দোকানিরও নজর টিভিতেই। কোন চ্যানেল? মনে নেই। টিভিতে দেখাচ্ছে – প্রবল বন্যায় ভেসে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। এই উত্তরবঙ্গ কিন্তু পশ্চিম বাংলার নয়, বাংলাদেশের। বাড়িঘর থইথই। কত মানুষ যে মারা গেছেন, ইয়ত্তা নেই।  জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে গরু-ছাগল, নদী আর রাস্তা আলাদা করে বোঝার উপায় নেই আর। দোকানে উপস্থিত লোকেরা বলাবলি করছেন, ইন্ডিয়ায় বন্যা-সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের কোন নদীর বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে, ফলে সমস্ত জল বাংলাদেশে ঢুকে ডুবিয়ে দিয়েছে উত্তরের নিচু এলাকাগুলো। ভারতকে দুষছেন তাঁরা। আমার পরিচয় জানেন না স্বাভাবিক ভাবেই। অথচ আমি, ভারতের নাগরিক, কোনও কারণ নেই অথচ লজ্জায় নিচু করে ফেলেছি মাথা। টিভিতে তখন ‘সব হারাইলাম রে’ বলা গৃহিণীর চিৎকার, কপালে হাত দিয়ে বৃদ্ধের বসে থাকা।

এই লেখাটা লিখতে বসে আমার খালি মনে পড়ছে সেই টিভিটার কথা। আদ্যিকালের বক্স টিভি, চারকোণা স্ক্রিনে এঁটে যায় সময়। আমি মৃত্যু দেখেছি সেখানে; আনন্দ কেমন ঝলসায়, দেখিনি। কিন্তু চোখ বুজলেই যেন একটা হয়ে-আসা সন্ধ্যা দেখতে পাব। দোকানে আরও ভিড়। চা আর সিগারেটের ডাক পড়ছে ঘনঘন। মতিচাচাও খেতফেরত কাঁধে গামছা ফেলে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেন। খেলা হচ্ছে। ক্রিকেট। বাংলাদেশ-ভারত। মীরপুর স্টেডিয়ামের আলো কয়েকশো কিলোমিটার পেরিয়ে এসে পড়েছে এই গ্রামেও। লোকজন চিৎকার করছে, ক্যাচ ধরলে ‘হালার পুত’ বলে গালি দিচ্ছে ভারতের কাউকে। মাহমুদুল্লাহ্‌ চার মারলে দূরতম আকাশে গয়না হচ্ছে আতশবাজি। আলো ও বিষণ্ণতার যাতায়াত মুখগুলোতে – টিভিস্ক্রিনের কথা ভাবলে, মৃত্যু নয়, এসবই দেখতে পাচ্ছি আমি।

আচ্ছা, এমন একটা খেলা যদি সত্যিই হয়, আমি কী করি তখন? পশ্চিমঘরের একটা চেয়ারে বসে থাকি চুপচাপ? অসম্ভব! বোলারের প্রতিটা রান-আপ আমাকে সম্ভাবনা দেখায়। উইকেট, নয়তো ছয়ের। ভারত-বাংলাদেশ যেই হোক। আর বাংলাদেশের কেউ আউট হলেই, সঙ্গে-সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুদের রাগানো। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান নিয়ে উত্তেজনা তেমন বোধ করিনি কোনোদিনই। কিন্তু ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে এই যে চাপা রেষারেষি, যা খেলার পরে বাঁ কিছুদিন কেটে গেলেই বন্ধু হয়ে যায় – এই অনুভূতি আমার কাছে সত্যিই অভিজ্ঞতা।

আসলে, এই ম্যাচে আমার মন অদ্ভুত একটা দোলাচলে ভুগতে থাকে। ঐতিহ্যসূত্রে বাঙাল আমি, বাংলাদেশের প্রতি দুর্বলতা আমার আজন্ম। অথচ বড় হয়েছি ভারতে, যে দেশের নাম উচ্চারণ করলে গায়ে কাঁটা দিত ছোটবেলায়, সে তো ভারতই! খেলা শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত যখন বাজে মাঠে, টিভিতে আটকে থাকা আমারও মিশ্র অনুভূতি হয়। ‘জনগণমন’-র সময় উঠে দাঁড়াই, গায়ে কাঁটা দেয়, হ্যাঁ, এখনও। আবেগ ততক্ষণই সফল, যতক্ষণ তা নিখাদ আবেগ হয়ে থাকে। ভারতের জাতীয় সঙ্গীত আমার কাছে শ্রদ্ধেয় সেই কবির মতো, যাঁর পা একবার ছুঁয়ে মনে হয়েছিল, শীতল হলাম। যাঁর কথা শোনার জন্য, লেখা পড়ার জন্য এখনও উদগ্রীব হয়ে থাকি, সেই শ্রদ্ধা যেন অন্য রূপ পায় জনগণমন-তে এসে। ‘আমার সোনার বাংলা’ গান চলাকালীন আমি উঠে দাঁড়াইনি কোনোদিন। জীবন আমাকে সেই অভ্যাস দেয়নি। আমার কাছে এই গানটা প্রেমিকার কোল হয়ে আসে, যেখানে চোখ বুজে মাথা রাখা যায় নিশ্চিন্তে; জানি, যা-ই হয়ে যাক, ও আছে। অসম্ভব এক শান্তির উৎস যা, দাঁড়ানো বা বসে থাকা দিয়ে কি তার সম্মান যাচাই করতে পারি!

প্রাথমিকভাবে সব থিতিয়ে এলে, এসব চিন্তা মাথায় আসে। শক্তি লিখেছিলেন – ‘দুদিকে যায় দুদিকে যায়, একদিকে কেউ যায় না / একটি জীবন চাখতে গেলে আরেকটি হারায় না / এমন মানুষ পাওয়া শক্ত’। আমার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে, প্রায়ই মনে পড়ে এই কথাগুলো। পাশাপাশি উঁকি দেন ভবা পাগলাও – ‘এক মন যার, সেই যেতে পারে / ওরে দু’মন হলে পড়বি ফেরে / পারবি না পাড়ে যেতে’। থতমত খেয়ে যাই। যেন একটা পথ হঠাৎ দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে – দুটো দিকেই যেতে ইচ্ছে করছে, একদিকে সৌন্দর্যের জন্য, আরেক দিকে প্রয়োজনের খাতিরে। পারলে দুটোই বেছে নিতাম। হয় না। আবার হয়ও কিন্তু, মনে-মনে।

বাঙালি হওয়ার জন্যই বাংলাদেশ-কে সাপোর্ট করতে হবে – এ-চিন্তায় খুব যে জোর দিই, তা নয়। আসলে আমি মনে করি, একজন মানুষ কখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে না। তার যাপন, পরিবেশ, পরিবারের পাশাপাশি অতীত ও ঐতিহ্যও তাকে বর্তমান হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আমার ক্ষেত্রেও তাই-ই হয়েছে। সত্যি বলতে, ‘বাংলাদেশ’-এর কোনো প্রভাব নেই আমার ওপর। পূর্ব পাকিস্তানেরও নয়। যা আছে, তা পূর্ববঙ্গের প্রভাব। এবং নাম বদলালেই যেমন জল-হাওয়া-লোকাচার-মাটি বদলে যায় না, তেমন পূর্ববঙ্গ বাংলাদেশ হওয়ায় কতটুকুই বা বদলেছে! আজ যদি পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বেঙ্গল’ হয়ে যায়, তাতে কি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পশ্চিমবঙ্গ-কে অস্বীকার করবে? তা তো হয় না! আমার জন্ম, বড় হওয়া, পড়াশুনা, চিন্তাভাবনা – সবই ভারতের অধীনে। ভারত বলতে আমার কাছে এই পশ্চিমবঙ্গই। বাকি ভারত খুব যে প্রভাবিত করেছে, তাও নয়। কিন্তু উত্তরাধিকার ও সংস্কৃতিসূত্রে, অনেকটা – হ্যাঁ, হয়তো অধিকাংশই, পূর্ববঙ্গের প্রভাব। যা আজকের বাংলাদেশ।

ফলে, খেলার দেখার সময়ও এমনই অদ্ভুত দোলাচল। কাকে সাপোর্ট করব? ভারত, না বাংলাদেশ? যে দেশের নাগরিক আমি, যে দেশের ম্যাচের পর ম্যাচে গলা ফাটিয়েছি, সেই দেশকে? নাকি যে দেশের হয়ে খেলছে এগারোজন বাঙালি, তাকে? এ-প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল কলেজজীবনের একটা ঘটনা। সেদিনও ভারত-বাংলাদেশ খেলা ছিল। ট্রেনে করে ফিরছি। নৈহাটি স্টেশনে বন্ধু নেমে গেল। জানলার সামনে এল বিদায় নিতে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘আজ কাকে সাপোর্ট করবি?’ – ‘কেন! ইন্ডিয়া! তুই?’ আমি হেসে বললাম, ‘বাংলাদেশ। যে দলে এগারোজন বাঙালি খেলছে, সেই দলকে সাপোর্ট করব না!’ বন্ধুর অবাক মুখটা আমি ভুলতে পারিনি। যেন নিস্পাপ, প্রশ্ন করেছিল সে – ‘ওরা বাঙালি নাকি! বাঙাল না?’ স্তব্ধ আমি জবাব দিতে পারিনি। ট্রেন ছেড়ে দিয়েছিল। বাকি পথ অদ্ভুত এক অস্বস্তি নিয়ে ফিরেছিলাম। বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্কে এমন ধারণা যাদের, উত্তরে কীই বা বলব! আমিও তো বাঙাল! এবং হাজার ব্যঙ্গের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও, তা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে দ্বিধা হয়নি কোনোদিন। তা বলে বাঙালি নই! আশ্চর্য! অবশ্য বাংলাদেশের লোকেদের সম্পর্কে আমি তো এমন কথারও মুখোমুখি হয়েছি – ‘ওরা বাঙালি নাকি! মুসলমান না?’


বাদ দিই এসব কথা। প্রসঙ্গে ফিরি। কাকে সাপোর্ট করি খেলার সময়? সম্পূর্ণ আবেগ ঢলে যায় কিন্তু বাংলাদেশের দিকেই। আবার, ভারত হারুক এমনও চাইতে খারাপ লাগে। শেষমেশ এমন সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছোই – বাংলাদেশ অসামান্য খেলুক, চূড়ান্ত লড়াই দিক। কিন্তু শেষ অবধি সূক্ষ্ম ব্যবধানে হলেও, ভারতই যেন জিতে যায়। এমনটা আগেও একবার হয়েছিল আমার। আইপিএলে, যখন কলকাতা ছেড়ে সৌরভ পুনে-তে চলে গেল, তখন। কলকাতা আর পুনের খেলা দেখতে বসে এ-কথাই জপতাম বারবার – সৌরভ একটা দুরন্ত ইনিংস খেলুক, কিন্তু কলকাতাই যেন জেতে। এই ধরনের মানসিকতাকে কেউ ‘দু-নৌকোয় পা দিয়ে চলা’ বলতে পারেন, কেউ ‘বিভ্রান্ত’। অনেকে উপদেশও দিয়েছেন আমায়, বাংলাদেশে চলে যাই যেন। আমি কিন্তু মনে-মনে ভারত-বাংলাদেশ দুটোকেই নিজের দেশ বলে মানি। অবশ্য ভারত বলতে এই পশ্চিমবঙ্গ। যদিও যাইনি, তবে খানিকটা ত্রিপুরা, আসামও। এছাড়া অবশিষ্ট ভারতের তুলনায় বাংলাদেশ আমার কাছে অনেক-অনেক বেশি আপন। যেখানে মন খুলে বাংলা বলতে পারব না, সে-জায়গার সঙ্গে মানিয়ে নেব কী করে – ভাবতে এখনও ভয় লাগে, হ্যাঁ, খানিক পরিণত বয়সে পৌঁছেও।

সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গে, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সময়, ঢাকায় বসে এ-কথাই বলেছিলাম একজনকে – ‘বাকি ভারত বাংলাদেশ-কে কী চোখে দ্যাখে জানি না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি, আমাদের পশ্চিমবঙ্গের অনেকেই কিন্তু তোমাদের দেশকে ভালোবাসে, আত্মীয় ভাবে। যতই অন্যান্য ইস্যু থাক, শেষ পর্যন্ত ভাষা তো এক!’ উত্তর পেয়েছিলাম – ‘হ্যাঁ, সে-জন্যেই তোমাদের কলকাতাকে এখনও ঘৃণা করতে পারি না। খানিকটা নিজের মনে হয়।’ এই উত্তর যে কী শক্তি দিয়েছিল আমায়, তা আর কেউ বুঝতে পারবে না।

ক্রিকেট। তিন অক্ষরের একটা শব্দ। যখন সামান্য বুঝতে শিখেছি, সৌরভ সে-সময় ক্যাপ্টেন। ভারত হারত, জিতত। অন্তত জয় খুব রেয়ার নয়, আমার প্রায়-সতেরো বছরের ক্রিকেট দেখায়। এবং পরবর্তীকালে ধোনি ও এখন কোহলির আমলে ভারতের জয় তো একটা নিয়মেই পরিণত হয়েছে প্রায়। কাজেই খেলা দেখতে বসে, ভারতের বিপক্ষে যে-ই থাক, খুব উত্তেজনার মুহূর্ত না হলে, জেতার পর বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস হয় না আর। বড়জোর একবার চিৎকার করা, নয়তো হাতের মুঠোটা বার দুয়েক ঝাঁকিয়ে নেওয়া। জয়ের অভ্যাস আমার আবেগকেও সংযত করে দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের খেলা বিচার করলে, গত তিন-চার বছরে ভালোমতো খেলতে শিখেছে টিম, বেশ কয়েকটা স্মরণীয় জয়ও পেয়েছে, যদিও তা সংখ্যায় খুব বেশি যে, তা নয়। ফলে এখনও জয় অভ্যাসে পরিণত হয়নি তাদের। সেহেতু যে-কোনও জিতই বাংলাদেশিদের কাছে উপহার হয়ে আসে, আনন্দে ভাসতে থাকে সবাই। আমার মনে হয়, ক্রিকেট নিয়ে আবেগের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশের মুকুট ভারত থেকে ধীরে ধীরে সরে গেছে বাংলাদেশের দিকে। নয় কি?

তবে, এই ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ আমার মনে ভয়ও ধরিয়ে দেয়। অনেক আঘাত পেয়েছি, অনেক অপমান সয়েছি এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে। সেক্ষেত্রে আমার দোষ – আমি ভারতীয়। খেলাকে খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে টেনে আনার বিষয়টা আমার অপছন্দের। জাতীয়তাবোধ প্রত্যেকেরই আছে। কিন্তু তার জন্য অন্যকে হীন প্রতিপন্ন করা, আর যাই হোক, সুস্থতা নয়। ভারত-বাংলাদেশে ফটোশপ ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে। এর-ওর কাটা মুণ্ডু নিয়ে কী পাশবিক উল্লাস! বাংলাদেশিরা ভারতকে বলছে ‘রেন্ডিয়া’, ভারতীয়রা বাংলাদেশ-কে বলছে ‘কাংলাদেশ’ – চারপাশে এসব নোংরামি দেখতে দেখতে আবেগ কখন জানি শুকিয়ে যায়। কিছু অসভ্য মানুষের জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষ জমছে মনে – দেখেছি তো! এমনকি, নিজের অনেক বন্ধুকেও এই আক্রমণের লড়াইয়ে নামতে দেখে, আর কিছুই নয়, হেসেছি। স্পোর্টিং স্পিরিট এরা জানে না। ময়দানের শত্রুতাকে ব্যক্তি-আক্রমণে নামিয়ে আনে। আবেগ নিয়ে লিখব? এইসব ঘটনার ত্রিসীমানায় প্রকৃত আবেগ কই! আবেগের মুখোশে অন্যকে ছোট করার খেলা – হ্যাঁ, এই ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচ।

ব্যাট-বল সবই প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় একসময়। প্লেয়ার, আম্পায়াররাও। ফাঁকা দর্শকাসন। মাঠে যে হাওয়া ঘুরে বেড়ায় – তা ভারতের, না বাংলাদেশের? হাওয়ার মালিকানা দাবি করা হয় না? মন দিতে গিয়েও বুঝেছি, খানিক ফিরিয়েই দেয় কেউ-না-কেউ। কয়েকটা ফ্লাডলাইট, বাইশ গজ আর সবুজ ঘাস – এছাড়া শেষ পর্যন্ত কিছুই থাকে কি?

হ্যাঁ, থাকে। চারকোণা একটা স্ক্রিন। সংবাদদাতার গলা ছাপিয়ে যার মধ্যে থেকে উঠে আসে জলের আওয়াজ, হায়-হায় চিৎকার আর কতজন মারা গেল তার লেটেস্ট আপডেট। এই-ই সত্য। এই-ই আমার চুপচাপ দাম মিটিয়ে বেরিয়ে পড়া, দোকান থেকে...


প্রচ্ছদের ছবি – অয়ন সিকদার

মন্তব্যসমূহ

নামহীন বলেছেন…
ভালো লাগলো, একই আবেগের শরিক আমিও, ক্রিকেট নয়, ভাষার।
- অলোকপর্ণা
বেদাংশু বলেছেন…
বড় ভালো লেখা

জনপ্রিয় লেখা