কবিতাগুচ্ছ | মঈন ফারুক | আঙ্গিক, মে, ২০১৯


একা

যেখানে যা কেউ দেখে না চর্মচোখে
যেখানে সবাই দেখে দৈন্যমনে

তার থেকে দূরে— দৃশ্য আঁকা ঘোরে

নিজেকে ধরে আবার লুকিয়ে ফেলে
মানুষের ভেতর একা হয়ে যায় কবি।



চিঠি

সমস্ত একরঙা কাগজ নিরক্ষর এবং একা
দুই রঙা কাগজে মিলে স্মৃতিচিহ্নের দেখা

ওরা কারও হাত থেকে যায় আর কারও হাতে

পথ-কোলাহল ওরা শোনেই-না, পৌঁছে যায়
কারও জন্য সকাল, কারও জন্য রাত নিয়ে



একটি ঝুলন্ত চিন্তা


বেলুনের ভেতরেও বায়ু, বাইরেও বায়ু; যেমন— আয়ু 
এবং পরমায়ু— দুটোই কিনা পাশাপাশি কক্ষ

এক নিঃশ্বাসের এক কদম অনুবাদ কে করতে পারে?

মহাশূন্যের ভেতর শূন্য থেকে শূন্যের দিকে দৌড়াচ্ছে 
ঘূর্ণমান লাটিম, তারই বৃত্তঘরে— 
আগেই মরে কক্ষ পরিবর্তন করে ফিরে দেখো
ওই কক্ষে তোমাকে কেমন দেখাচ্ছে?




অপরিপক্কতা

অদৃশ্য গতিকে সংখ্যায় দাঁড় করিয়ে
সময়জ্ঞানে বসে থাকে পদার্থমুর্খ— 

স্কুল ছুটি হতে না হতে চাকুরীর মেয়াদও তো ফুরায়

এভাবে, সৌম্য বালকেরা বাঁশি বাজাতে বাজাতে 
একদিন নিজেই বাঁশি হয়ে ওঠে আর কারও ঠোঁটে 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা