অরিন্দম দে | আঙ্গিক, মে, ২০১৯



মূলত কাব্য চাই

আমি যেসব ব্রহ্মসত্য নিয়ে খেলা করতাম,
তাদের জন্য ঠাকুর ঘরের সিঁড়ি তে খেলা ঘর বেঁধেছিলাম।
তক্তপোষ জড়িয়ে কদাকার মুখ বিকৃতি করে ছুটে যেতাম,
ওদের ভালোবাসতাম মাঙ্গলিক উপায়ে।
সেতার নামিয়ে রাখলে কান্না শুনতে পেতাম।

কতকাল বাতি নিভিয়ে ছাই টুকুই ঘেঁটে গেছি-
অমরাবতী কাকে বলে- হায়, কাকস্য পরিবেদনা নাস্তি।
খেলাঘর নিয়ে আমার বিশেষ অহংকার ছিল,
যুজতে পারতাম না তোমার হাস্যকৌতুকের সঙ্গে।
অসম প্রতিযোগীতায় ভিড়তে কারই বা ভালো লাগে?
যপ-তপ, মন্ত্র, রুদ্রাক্ষ- এসব নাম মাত্র,
তাই তো ভাবতাম কারও কারও পক্ষ্যে অন্তর্বর্তী যৌনতার অর্থ  বড়ই আদুরে।

এই যে আমার এই কাব্যিক উপাখ্যান-
এতে তোমারও এঁটো লেগে আছে।
ব্রহ্ম সত্য বুঝলে না?
নবপরিনয়ে তো সত্যেরা আরও গাঢ় হয়ে ওঠে-


লাবণী ওরফে লবণ

সমস্ত রাত একভাবে গিলে খাওয়া খুবলে নেওয়া উপায়ে কাটবে বলে বৃষ্টি নেমে আসে।
তোমার যখন দু আড়াই বয়স, পায়রা ধরবে বলে খোঁচা মারতে,
আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলতাম- "ওরা বড় ব্রাহ্মিক"
জাত গুলিয়ে যেত তোমার তখন। তুমি সামলে নিয়ে শুধু পালক কুড়িয়ে রাখতে।
যখন আমার বয়স থেমে ছিল,
মাথার উপর একটা অতিসূক্ষ আলো পা ফেলে এগিয়ে আসতো রোজ।
তোমার দু আড়াই তে বাল্যকাল বলতে ওই কাজলের অপব্যবহার টুকুই।
এবারের রাত টা দুটো আড়াইতে শেষ করে ফেলি, 
তখন আমার জন্ম সালের বৈধব্য বুঝতে ভুল করো না যেন।


দু-হাজার বছর আগে

কথন- দু'হাজার বছর আগে,
তখন আমি পাগড়ি পড়তাম। চোখে রঞ্জক লাগিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম আমার ক্ষেত্রপতির দরজায়।
তখন আমি লাঠি খেলতে পারতাম ভালো। আপনাকে দেখিয়ে পোড়ামাটির পুতুলের বুকে হাত রাখতাম। জলসত্ৰের পাশে লুকিয়ে দেখতাম আপনার ঝালর কাটা পালকি। দেবদারু পাতার দরজায় লক্ষীকান্ত আপনার গ্রীবায় চুম্বন করছেন।
 আর তাই দেখে দু হাজার বছর পরেও আমি ঠিক করেছি-"আর কোনোদিন ভালোবাসবো না।।"

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা