দু'টি লেখা
|| কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় ||
১
চারমাথায় দাঁড়ালে ভীষণ তরল হয়ে যায় পথঘাট৷ সামনের গোধুলিবেলায় দৃষ্টিতে নিমগ্ন 'তুমি' আলগা রশি হয়ে পড়৷ রশিতে সর্পভ্রম হয়৷ ধান্যসিঁড়ি পথে আমি হেঁটে যাই, চারদিকে ফ্যাকাশে তুষার৷ মাঠে মাঝখানে দরজার এক একটা ফ্রেম, বুনুয়েল ডানা মেলে আসেন, দালির গোঁফে নীল মাছি... হাতি গন্ডার নিয়ে দ্রৌপদীর পঞ্চভাতার হেঁটে বেরিয়ে যায় লম্বা প্রসেস+অন৷
কালপুরুষ মিলিমিটার মাপে তারাকণা বিভক্তিতে নামে৷ এভাবেই সবুজ মাঠ নীল মাছি পৌরাণিক রিয়ালিজমে এক একেকটা অবতার হয়৷
প্রেমিকরা ঈশ্বর অথবা প্রেমিকারা যষ্ঠীমধু৷ সাপ নীলনয়নাকে ঘিরে ধরে৷ পায়ের তলার চারাঝোপ মখমল হতে গিয়েও বেদানার রস হয়ে যায়৷ ধান্যক্ষেত্রে অপাপবিদ্ধা জলঝারি দান৷ দ্রৌপদী শুয়ে থাকেন, দালির দাঁত ক্ষুরমাজনে চকচকে৷ দূরের ফ্রেমগুলো সিগারেট রাংতার সাজ৷ লোলুপ হই৷ এখন বেলা বারোটা৷ ঝুমা দি' কাজ করতে এসেছে৷ ঝাড়ের ধুলোয় উড়ে যাচ্ছে ইন্দ্রপ্রস্থর পারমাণবিক ধুলো৷ আমার ঘর আস্তাবল হয়ে ওঠে৷ এভাবেই অগ্নিবলয় সকালে অধঃপাতে যাই৷ লুব্ধক ঘেউ ঘেউ করে ছুটে আসে পুরুষের দিকে, স্তব্ধবাক মিতবাক মাঠ চুপ করে, রাতের অতীত প্রস্তর বুকে ধরে বসে থাকি... উপায় নেই জল গমনের৷
২
ঘর৷ মেঝেতে ধূপ জ্বলছে৷ অমানিশা৷ চাঁদ কালো উইংসের আড়ালে চুল আঁচড়াচ্ছে, সূর্য পুকুরে স্নানে নামবে আর একটু পর৷ ধরে নাও ঘরটা খালি ঘর নয়, একটা ছক্কাপুট গুটি৷ সাপ সিঁড়ির বোর্ড তার চ্যাপ্টা পৃথিবী৷ আঁকা সাপগুলো এক একটা মহানদী নদ৷ দানটা পড়লো ইয়াংসিকিয়াং সাপের মুখে... ছয় দান৷ চীনে ছয়টা শিশু ভূমিষ্ট হল৷ প্রত্যেকটা শিশু এক একটা সাপসিঁড়ি বোর্ডের বিক্রেতা/ দোকানদার৷ দোকানে অনেক পাটপাট শাড়ি রাখা আছে৷ কাল মহালয়া৷ তাই আমি এখন টাইপ করছি, কেন করছি ভুলভাল করছি৷ এখন রাত একটা বেজে পঁয়ত্রিশ৷ দধীচি আর বৃত্রাসুর মদ খাচ্ছে আমার সাথে বসে৷ অপ্সরা ইনবক্স ছেড়ে দিল, ও এখন হয়তো ঘুমাবে৷ ওকে অনেকটা দুর্গার মতো দেখতে৷ কাল মহালয়া৷ এখন একটা বেজে পঁয়ত্রিশ হয়ে ঘড়ির আঙুল চল্লিশের বুড়িতে গড়াচ্ছে৷ মহালয়া তুমি শুনতে পাচ্ছ আমি ভুলভাল বকছি, কিছু লিখতে পারছি না! দধীচি দধীচি লিখছে দধীচি, দুই কি.মি দূরে মদের দোকানে একটা নীল ভোমরা ডিগবাজি দিল৷ বুকের হাড় নিয়ে মদ ভরা বোতলগুলো ইয়াংসিকিয়াং-এর জল গাঢ় ভারী মদ ফেনাচ্ছে৷ একটা চল্লিশ আমি টাইপ বন্ধ করলাম৷ বন্ধ করলাম৷ বন্ধ করলাম... বাথরুমে উঠছি৷ পোস্ট দিলাম৷ সাপ দান লুডো রঞ্জিত সিংহর বই-এর ওপর পড়ে আছে৷ পোস্ট করিনি এখনো, কারণ দেখতে পাচ্ছি মণিকর্ণিকা ঘাটের সবুজ মিথেন দাউদাউ করে ইনবক্স ঘুরছে৷ লিখো পারলে ধ্বক থাকলে৷ পোস্ট করলাম৷ পোস্ট ...ডটডট দিলাম৷ ৷ পোস্ট...
|| আঙ্গিকে কবির গদ্য ১১ ||
মন্তব্যসমূহ