সোহম ভট্টাচার্য
প্রবাস লিখিত
এক
অন্য শহরে ভোর হ'লেই
তোমার কথা ম'নে পড়ে-
ইদানীং প্রায়ই শহর পাল্টাই
আর ভোরে উঠে ভাবছি এখনো,
কী অজুহাতে আবার লিখে ফেলব, একঘেঁয়ে-
তোমায় ম'নে পড়ে আর তোমায় ম'নে পড়ে।
দুই
একসাথে দিনগুলো আমাদের-
যেন আমার লেখার মতই
একগুচ্ছ হয়ে আসে, একদল মেঘ
বহু দিন আসেই না হয়তো আর।
লিটিল ম্যাগাজিন আর মফস্বল
এই অব্দি হয় ঐ লিখে; আর কিছু নয়।
তিন
তাই ব'লে ছেড়ে দেব নাকি?
হাজার তুলনা টানব- সুচিত্রা উত্তমে।
মেঘে আর কালিদাসে, মৃত্যুতে জয়সিংহে
এমনকি আফ্রিকা- মেশিনগান, আমরা।
এই সব উপমা শুনছ? পরিহাসে চোখ ফিরিয়ে- হাসো, আমি লিখব রাষ্ট্র আর দারিদ্র্য যেন ঠিক।
চার
বন্ধুর বিয়েতে সাজব সং, খুব একচোট
সবাই ফিসফিস করবে, 'ওদের আর নেই?'
'ওদের' চিন্তায় ওরা এরা,তারা খসে যাবে
আর বাসর ভেঙে আকাশ ইঙ্গিত দেবে ভোর
বাসি খাবারের ডাই বাসনের পাশে, একঝলক
দেখা হবে। লিখব এবার, দেখো ঠিক। দেখা হবে।
পাঁচ
প্রচন্ড রাগের মাথায় তুমি বলবে, খুন-
আমি আদেশ মাথায় ক'রে আততায়ী
তারপর দ্বীপান্তর শেষ হবে পরের জন্মে ভোরে
তুমি নাবিকের মেয়ে, নতুন দ্বীপে দেখবে
পুরোনো হত্যার ক্ষত মুছে দিতে দিতে
আরো হত্যা আরো হত্যা
জন্মে গেছে গোটা মহাদেশ-
এসো দখল করো- এসো দ্বীপান্তরে।
ছয়
এতসব বলবার পরেও বলছি
ভোরবেলা, যখন নিজেকে বলি
শান্ত হও শ্বাস আর শান্ত করো আলো
দাবদাহ নিভিয়ে লিখি, রান্নার উনুন
প্রতিটা রুটি উঠে যাওয়ার পর দেখি
আমাদের মত, অতীতের মত, ভালবাসা
এক মহাদেশ আগুনের মত, লাল হয়ে আছে।
(ব্যবহৃত ছবি- ইলকার কারামান)
মন্তব্যসমূহ