কুবলয় বসু



খোয়াব,  সম্পর্ক ও মুক্তি





নিকোনো রক্তের আলো তোমার বাগানে এসে পড়ে,

মাঠের ওপাশ দিয়ে ফিরে যাওয়া স্মৃতিঘর...

সাঁতারের অগোছালো দিন-গুলো সহ্য করে পিষে যাওয়া

খামারের ঘাস-লতা অযত্নে সম্পর্কে বাসা বাঁধে

মনে আছে লোহার ঘোরানো সিঁড়ি বেয়ে শেষ দেখা...

খই পড়ে আছে আমার স্বপ্নের পথে পথে





স্বরলিপি ধুয়ে যাচ্ছে গানের খাতার পাতা ছিঁড়ে

অর্কিড-মাখানো রোদে তোমার অপেক্ষা

এখনো বৃষ্টি-ব্যালাড শুনে মনে মনে সেই রোদ মুছে দিতে পারি

সলতে পাকানো কফিধোঁয়া হিরেকুচি ছুঁয়ে...ফিরে গেলো

ঋতুবদলের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে গেলে

ক্যালেণ্ডার ভেসে আসে অজস্র তারিখ বুকে নিয়ে



৩।


ভ্রমণের দিন গুণে বিকেলে উড়ালপুল ডাকে

তবু নেমে গেলে পরের স্টেশনে

দোমড়ানো সিগারেটে ভুল টান দিয়ে ফেলি,

আলগোছে তুলে নেওয়া সুগন্ধি রুমাল

উড়ে গেল ফেলে আসা ঠিকানার দিকে

এ তোমার কেমন ফিরিয়ে দেওয়া





সর্ষেক্ষেতে একা তুমি বেমিসাল

শাটার স্পিডের সাধ্য নেই তোমার মুখের আলো ছোঁয়

এ শহরে শেষবার গির্জার বিকেলে এসেছিলে

ঘণ্টাধ্বনি আর শুকনো পাতার হাঁটা পথে

অসুখের দিন ফুরিয়ে গেছিল

তোমার চিঠিতে লেখা মন্ত্র উচ্চারণ

বাতাসে মিশিয়ে দিয়েছিলাম সেদিন

শ্মশান ঘাটের কাছে এসে সে বাতাস

রোজ আমার মাথায় হাত রাখে,

ধোঁয়া ওড়ে কাহিনির শেষে

মন্তব্যসমূহ

S Paul বলেছেন…
"ছুঁয়ে দিলে বুক কুরে কুরে খায় সোনা পোকা
বেপাড়ায় কাঁদবে না এমা ছি ছি বোকা"

জনপ্রিয় লেখা