তাপস বিশ্বাস


কানা ট্রাভেলগ

এইভাবে সরে যেতে যেতে তৃষ্ণাকাল বন্ধ হয়ে যায়।
আঙুলের মাথায় ফুটছে আনাজকুটুম।
অভিধানের টিউব থেকে বেরিয়ে আসছে, থকথকে
ভ্রমণ না-হওয়ার মতো জেলি।
মূর্খের টানা স্বপ্নের মতো মাথার বর্ণনা পাচ্ছে টেবিল 
আর এক প্রাতঃরাশের মুখস্থ থেকে
ঢুলতে ঢুলতে পড়ে যাচ্ছে দিনের সব আত্মগামী বাস।

তাহলে কোথায় একলা পাখি নেবে আর!
কোথায় বসবে আমার মতো কেউ অকালপ্রয়াত পাহাড়!

একটা নদী সেরে উঠছে আদর চাইবে বলে
অথচ বিনিময় লেখা থাকছে না কোথাও।
         

পর্দা ও ভ্রমে

মৃত্যু ফুটিয়ে তুলছেন জাদুকর। 
পর্দার আভাসে আমাদের তাই পাওয়া গেল।
দূর থেকে যারা দেখছেন, তারা দেখছেন—
মঞ্চের অবাক আমাদের জুতোর ফাঁকা নিচ্ছে রোজ। 
আর আমাদের বসার জায়গা ছেড়ে রাখছে হাওয়া-অ্যালবাম।

পর্দা ও ভ্রমে যেটুকু তফাত্ 
মৃত্যু ও জাদুকরে যেটুকু তফাত্
সেখান থেকে আমাদের নামের অভিনীত আলো 
ফাঁক গলে গলে পড়ে যাচ্ছে।


এলিজি

লবঙ্গ রঙের প্রেমে আঁটছে না। 
টুপটাপ মর্গ কুড়োতে নামছে নির্জন বালকের ক্রিম।
সচেতন বক্ষ ঝোলাবার মতো করে বাক্যে হেঁটে
দেখেছি সেই এক শাঁসের কাছেই আত্মীয় হয় নখ।
আলোর সর্দারগুলো উপুড় করে ঢেলে দিচ্ছে চাতাল—
এইসব হর্ষ হওয়া মেয়েদের খুলে দিই প্রেমের ভেতর
মাদুরে মাদুরে নিহত বাজিয়ে দিই।
       

লালন

একটা লালন নামিয়ে রেখেছি। 
কীভাবে ঢলে আসব টাটকা সবুজ
আর ডেয়ারির টোনে!
চানাচুরে আশ্চর্য লোক হলে মেয়েদের
কালো কফি হয়।
এই লিভিংরুম — আরও অস্থির গাঢ় চা ফোটে।

তোমাকেই শুধু ধরি। খোপে খোপে ফোটে 
পৃথিবীর ভাষায় আলো চাউমিনগুলি
দুই ফোঁটা বড় মদ আঁখিয়ার মতো 
লালন বড় হয়ে ওঠে।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা