অনিন্দ্য রায়
বাসনাখণ্ড
১.
ভস্মকীট, তোমার নাস্তিক, বলেছি, প্রকাশ্যে ওড়ো
চক্ষে পড়ে পানিকে উস্কাও
যদি দাহ বরাবর শোয়, বালিশ প্রথমেই জ্বলে
প্রাণের বিলাস কাঁদে, কুচিকুচি,তুলোর ভেতরে
২.
স্নান গাছের যতটা, তাকে জাপ্টে ভিজে যাই
কাণ্ডঊরু, শাখাহাত, আঙুলেরা পাতার সালোক
এবং গন্ধপুষ্পে মাটির প্রলেপ দিয়ে রাখি
বৃষ্টি চরাচরে, কেউ মোছার আব্দার করে শ্বাসের মুকুর
৩.
ময়ূরের দিকে যাই, সে আঁচড়ে পুরুষ বানায়
ক্ষতের যত্ন নিতে ঝরে রস, এঁদো শিরাপথ
আলো জ্বেলে ঢুকতে হয়, আলোদের তিনশো ষাট কলা
একটি নেভাতে গিয়ে হাতে হাতে ফোস্কা বাঁধালাম
৪.
ছিন্ন হওয়ার মতো তার কোনো তন্তু ছিল না
আমিই দিয়েছি শ্রম, বিপরীতে নগ্ন ঢেঁকিঘর
তুমি তো কামের নামে ধ্বংস করো যাবতীয় তুষ
৫.
অন্ধত্ব ছোঁয়াতে বাকি, সব ব্রত পেরিয়ে এলাম
জিভাগ্রে পৃথিবী নিয়ে ঘোরালাম, তত চকোলেট
আরোই বালক করে
ভয়ের দু পৃষ্টা, মাঝে মুখ রেখে আরো প্রাথমিক
মন্তব্যসমূহ