হাসান রোবায়েত


বসন্তের বাইরে

সমস্ত পাহাড়-ব্যেপে বৃষ্টি আসছে  
আর তুমি  
হাসির মাতম থেকে কুড়িয়ে যাচ্ছ নদীতীর 
তারাদের অন্ত্রনালী  
কিভাবে প্রাচীন রোদের থেকে গাঢ় করে হেম 
অশোকের নিঃশব্দ পাতায় 
ঐ সম্মুখে 
মরণের রুধির কাজল গাভীদের চোখ বেয়ে  
নেমে যায় অভিপ্রায়ের দিকে—



বিবাহ-কপাট

মাকে দেখতাম, একটা লাল ফড়িঙের সঙ্গে বাড়ি ফিরতে—
সিনেমা শেষে 
কুলায় গান ঝাড়তে ঝাড়তে মা বলতেন—'যেকোনো বাড়ির সবচে বড় অপচয় তার সদর দরজা—'

বহুদূর—আনোখা নদীর তীরে লাল ওই ফড়িঙের দেশ—বাতাসে গাঙের লতা: 
তিরতির কাঁপছে একাবিবাহ-কপাট—



পোড়া গন্ধের সুর

সে-বার খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম  
স্বপ্না আপার জোড়া দুল  
কেমন হাই তোলা শিশুর মতো তাকিয়ে ছিল মাঠে 
হরিণের ছবি দেখলেই দৌড়ে যায় পোড়া গন্ধের সুর

ছবিটা দেয়ালেই থাকে  
তখন পৃথিবীতে রাত হয়  
হরিণেরা নেমে আসে জ্যোৎস্নায়  
স্বপ্না আপার দুলে ঘন হয় ডাকাতির ঘ্রাণ

স্বপ্না আপা পানি তুলছে কুয়াতলা ভুলে



প্রতিধ্বনি  

আকাশ নেমে বৃষ্টি এলো 
পাথর ভেজে জলে  
হায় রে এখন কোথায় তুমি  
দাঁড়িয়ে থাকার ছলে! 
প্রতিধ্বনি যেই এসেছে  
চমকে উঠি প্রায় 
দেখি, তুমি হাত ধরেছো 
অন্য অপেরায় 
বৃষ্টি তখন অনেক কালের 
এইখানে মেঘ-খরা—  
কলাবতীর ফুল ফুটেছে 
গানেতে অন্তরা

মন্তব্যসমূহ

Kubaloy Basu বলেছেন…
ভালো লাগা কবির আরো ভালো লাগা লেখা পেলাম নতুন করে।

জনপ্রিয় লেখা