শাশ্বতী সরকার
সম্ভ্রান্ত অতিথি চলে গেলে
দামি চায়ের পাত্র তুলে রাখতে রাখতে চোখ যায় মলিন চেয়ারের দিকে,
ইস আগে যদি জানা যেত, এইভাবে এলে?
রোজকার পাখার স্পিড এক দাগ বাড়ানো রয়েছে,
যেন অতটুকু পেলে ভোরে বয় সুবাতাস,
তেমনি আরাম।
শোকেসে তুলে রাখি কাচের আঙুল, সিন্থেটিক হাসি ফের দেখে নিয়ে নিজস্ব পেঁটরায়।
গেরস্থ চেহারায় ফিরলে এ ঘর,
আর কি বিশ্বাস হবে তুমি এসেছিলে?
তুমি
১
আহা রোদ, কবুতরী রোদ! তীব্র রোদের পশমে কার ডানা মেলে রাখো থিরথির ? অসংখ্য আকাশ নিয়ে ইশকুল খুলেছে সকাল।
২
শুভ্রকেশ বালক, পারাবত হৃদয়। তীরে দাঁড়িয়ে দেখছে অসুখ এক সংসার। ঢেউগুলি উন্নতমুখ, বিষপ্রবণ। দেখছি অ-সুখ তুমি গেলে সারে, মৃত্যু আসে। ফেনায় ফেনায় নিম হয় ঘন বিকেল।
৩
চিত্রকর, সে। অসুখের জানালায় যেভাবে আলোকপর্ণা ফুল। যেভাবে 'এসো' লেখা চৌকাঠে অপার হয়ে আছে তুলি, ভেতরে ভেতরে সন্ধে নেমে আসা কোথাও পথ নিজেই এক অন্ধ গন্তব্য।
অহৈতুকী
আমি রোজ সেরে উঠব ভাবি
একদিন আবার গাছ পাখি ছাড়াও একটি দুটি মানুষকে বিশ্বাস করব
চোখ থেকে নিজের দুর্দশার দৃশ্য টেনে সরিয়ে রাখব
অথচ তারা আছেই
উপরে বোরোলীনের প্রলেপ মাখানো শীতকাল ভাবছে
রোদ আসলে টাটকা কমলালেবুর মতো সতেজ
ফলের ত্বক ফেটে পড়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে দুপুর
একটি দুটি থালায় ভরা সুস্থদিনের সরঞ্জাম
হাঁ করে ভাবছে
একদিন আবার নদী হবে ঝরণা হবে
মানুষ তো আসলেই বাদামি গাছ
শ্বাসকষ্টের কাছে ঝরে যাবে না জারবেরা ফুল
মন্তব্যসমূহ