প্রতীক দে চৌধুরী

GALLERY



ভালোবাসার বীজ পোঁতা হচ্ছে মরুদ্যানে। চলো, হাতে হাতে সবাই অলংকৃত হই। বড় শান্ত চরাচরে একা একাই স্নান করি। শাদায়-কালোয় এক ছটাক পৃথিবী আমার। আহা! টান। আহা! নির্মিত পথ। রাজা আসবেন এবার। ঘরে ঘরে গেয়ে উঠবেন, "লোকে বলে ও বলে রে, ঘর বাড়ি ভালা নয় আমার"।



আমাদের ঘর আমাদের বাড়ি... ঘন হয়ে আসা পাইন বন... বাবা আদর করছেন ছেলেকে... ইস্কুলে অঙ্কে কম নম্বর পাওয়ায় মা মেয়েকে বলছেন পরের বছর ভালো হয়ে যাবে... ও চাষী ভাই! তোমার গ্রামের ঋতু ভালো আছে? ফসল দিচ্ছে?... আলতো হেসে চাষী ভাই বলছেন, "বড় আরাম গো"!



আমাদের মুণ্ডু নেই, দড়ি আছে। আমাদের শেকল নেই, কয়ের গাছা চুড়ি আছে। জল জল উপচে পড়া পাহাড়ি নদী। কিছুই বলে না আজকাল। ওখানে পাখিরা আসে। পাখিদের উড়িয়ে দিচ্ছে নদী। নদীকে ভাসিয়ে দিচ্ছে ডানা। নদী এক, পাখি এক... বিকেলবেলার খেলাটি আজ।



"কী ঘর বানাইমু আমি শূন্যের মাঝার"

বিষাদ থেকে নেমে আসছে সিঁড়ি। ছাদ ক্রমশ নিচে। তলানি যে যা পড়ে আছি একা একা। আমাদের আর ঘরে ফেরা হবে না! ঘর! সে ভারী অদ্ভুত জিনিস। কারোর থাকে, কারোর থাকে না।


পোকামাকড় বেরিয়ে আসবে এরপর। দেখবে, তোমার পা উপরে উঠে শূন্যে নাচছে। সহাস্যমুখ মিশে যাচ্ছে মাটিতে। কুঁচকে যাওয়া চামড়া আর পুড়ছে না শ্মশানে। অস্থি ছাই, লিঙ্গ ছাই, ভালোবাসা ছাই, নদীর ধারে বসা গল্পের পাতাগুলি ছাই, পাখিটির ডানার রং ছাই...


এখন কেউ নেই। কেউ থাকে না। ছাই হয়ে আসে সব। তোমায় স্মরণ করি। তোমার ওমে উড়ে যাব এবার। হাত আজ চরম পাখিটির মতো। যে পাখির রং শাদা, স্বপ্নের রং কালো।





"গ্যালারি"
আলোকচিত্রী- প্রতীক দে চৌধুরী 
লেখা- সুমন সাধু

(©এখান থেকে কোনো ছবি আঙ্গিক কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নেওয়া যাবে না)

মন্তব্যসমূহ

Amar apodarthotha বলেছেন…
ছবি গুলো শুধু ছবি নয়, যেন কোনো উপন্যাস বলে যায়।
স্নেহা সেন বলেছেন…
কবিতার মূহুর্তেরা বাঙ্ময় হয়ে ওঠে ছবিতে...

জনপ্রিয় লেখা