বিবস্বান দত্ত
আর একটা নদীর কথা
ওর সঙ্গে আমার ফেসবুকে আলাপ। দ্যাখা হয়েছিল কোনো এক শীতের কোনো এক শেষে। প্রান্তে। তারপর, মনে হয়েছিল, বয়ে চলা মানে নদী। আর জল মোটেই সরল নয়। নদীর তলায় অনেক চোরাস্রোত থাকে।
ওর সঙ্গে আমার ভেঙে গেল বসন্তের শুরুতেই। এক ঋতু মরে গেলে ভাবি কী সুদীর্ঘ শীতের রাত পেরিয়েছি। রাতের পরে আসে মৃত কোকিলের ডানা।
ঋতুরা আসলে পাথর। যাদের ফাঁক দিয়ে একটা পাহাড়ি নদী খালি পালিয়ে যাচ্ছে
শীত শেষ হচ্ছে না
বসন্তও শুরু হচ্ছে না আর
অর্গাজম
যেকোনো রকম নিভে আসাকে বিকেল বলে ডাকি
আর বিকেলের নাম রাখি নির্জন উল্লাস
আসলে সমস্ত ট্রেন বিকেলে ছাড়ে
বিচ্ছেদ জাগছে বলে উল্লাস উঠে যাচ্ছে পানপাত্র থেকে
ঠিক যেমন প্রত্যেক মৃত্যুর পরে তুমি আমার পাশ থেকে উঠে যাও!
দলিতকিশোরকথা
ছেড়ে এলাম বেবাক নুড়ি পথ
ছেড়ে এলাম মাটি
হাত বাড়িয়ে নদীর দিকে চাই
সঙ্গে যদি হাঁটিস
বেশি তো নয় দু এক মুঠো স্রোত
সূর্যাস্তে কেনা
হাতের 'পরে শিরায় উপশিরায়
মানচিত্র চেনান-
যিনি তাঁকেই ব্যাকুল নামে ডাকি
অন্যমনস্ক তো
আপনি নাকি ভীষণ বাজে লোক!
এখন আমি কাতর
নদীর কথা একটুখানি জানি
রঞ্জন বা বিশু...
গান পেরিয়ে ফুল কুড়িয়ে আনি
আমার সাথে মিশুক
চুম্বনে সে অবুঝ পলি মাটি
নদীর বুকে বুকে
বাড়ছিল যে জানতে পেরেছিল
অনন্ত অসুখে
কিশোর ছেলে অনেকদিন পরে
নন্দিনীকে দেখে
অরুন্তুদ রক্তকরবীতে
মেঘ বানাতে শেখে
সেসব মেঘ রবিবাবুর খাতা
পেরিয়ে আসে শতক
রাষ্ট্র তুমি মারতে পারো শুধু
ইতিহাসের মত
সব মার সে সইতে পারে হেসে
ফুল এনেছে, আশাও
নন্দিনীদি তোমার খোঁপাফুলে
মারের ভালোবাসা
পৃথিবীর চিঠি
শান্ত হতে হবে,
যেমনভাবে দিন শেষ হয়
অথচ বুকের ভেতর লাভার মতো কারা ছোটাছুটি
মাথার ভেতরে কারা নক্ষত্ররাশি, ফেটে পড়া
এতটা অস্থির তুমি হবেই বা কেন যাতে অস্থিরতা বাইরে বোঝা যায়?
মন্তব্যসমূহ