সৌমাভ
আঙ্গিক ব্লগ, জুন ২০১৮
কিছু মেঘ কিছু মায়াঃ শ্রাবণের মুষলগুচ্ছ ২
কিশোরীবেলার মিনি
একটি দুপুর পাখি হয়ে উড়ে গেল,
শান্ত তার মৃত ডানাফুল।
বন্ধ দোকানপাট,
ভিজে খামে ভরা রোদ-বিকিকিনি,
বর্ষায় ভিজছে কাবুলিওয়ালা,
লাল বিনুনি, কিশোরীবেলার মিনি।
গোধূলিফুল
তোমার বিকেল থেকে খুলে দাও চুল, মৃদু স্নানজল
সন্ধের আগে ফুটেছে গোধূলিফুল, সূর্য থেকে নেমে এলে,
খোলা পিঠ, যেন টলটল বৃষ্টির পর ভীরু কচুপাতা,
সন্ধ্যাদীপের নিচে একা জ্বলে যায় ইচ্ছেভর্তি খাতা।
বাবা
জাগছে ঘাস, জাগছে মাটি, কৃষ্ণচূড়া,
মুখ তুলছে গাছ-গাছালি বাঁশপাতা,
পাশ ফিরছে নদীজল, চেনা স্রোত...
উনিশ দিন হসপিটালে থাকার পর
বন্যার ভিতর থেকে, জলের তলা থেকে
জেগে উঠছে চোখ, জেগে উঠছে স্নেহ
জেগে উঠছে বাবা।
চৌপল
আটাত্তরের বন্যার সঙ্গে ঠাকুমার চোখের
পৌনঃপুনিক সম্পর্ক,
সেই সম্পর্কে আমি ও আস্ত শ্রাবণমাস ঢুকে পড়ি।
চাঁদের চৌপল জ্বেলে
মেঘ ছড়িয়ে আচঁল ছড়িয়ে আকাশ ছড়িয়ে
ফ্রেম থেকে নেমে সিঁড়ি থেকে
নেমে আটাত্তরের বন্যা, ঠাকুমার চোখ,
আমি ও শ্রাবণমাস
নিভে যাওয়া হ্যারিকেনের পাশে
ভীতু বেড়ালের মত মুখ করে ঠায় বসে থাকি।
হলুদ-বাটা জল
রান্নাঘর থেকে হুট করে
শ্রাবণটি বেরিয়ে এলে
জানালার কাছে
ফাজিল একটি উঁকি
যায় ভিজে যায়
হলুদ-বাটা জলে।
মন্তব্যসমূহ