শুভ আঢ্য
আঙ্গিক ব্লগ, জুন ২০১৮
পাটিগণিত
এভাবে দু'দিকেই যাওয়া যায়, হাওয়া যায়, আবহাওয়া
পাটিগণিত তুমি শিখলে না, দল দলমণ্ডল জুড়ে যে ফুল
তা জানলে মেহেদী বলে কোনো স্কুলের ছেলে
ভবনের পাশে খোলা বুকে অপেক্ষা করছে, তার দিনের
একটা সোনামুখি ডাল হোক, তাতে পাতা একটা বা দু'টো
পাটিগণিত তুমি শিখলে না, দল দলমণ্ডল জুড়ে যে ফুল
তা জানলে মেহেদী বলে কোনো স্কুলের ছেলে
ভবনের পাশে খোলা বুকে অপেক্ষা করছে, তার দিনের
একটা সোনামুখি ডাল হোক, তাতে পাতা একটা বা দু'টো
সে'ও জানেনি রাঙের সেলাই করা ব্রা ছেড়ে তুমি
কতদিন ডিশওয়াশারে ডিপ করে গেছো চা'ও
পাতার ভেতর পাহাড়ির ছবি, একজন আদর্শ মেয়ের বাবা
আমার দিকে... সেদিক ভুল ছিল, সে দিনও ভুল
যেভাবে ধুতুরা ছেড়ে বীজ যায় পরাজিত নেশাড়ুর
দিকে, সেদিকেই দল আর মণ্ডলাকার ধোঁয়া
যেন মেহেদী রয়েছে হাতে আর কেউ রাতে ডরিয়ে উঠছে
তুমি শিখলে না হে পাটিগণিত, শিল্পকেন্দ্রিক শুধু
খোলা মেলা যায়... হাওয়া, তুমি বস্তুত উহ্য থাকো
কাকাতুয়া
মনে কর শেভকরা গাল ভেতর গড়িয়ে কথায়
ওই কাকাতুয়াটির পাশে আরও একজন
বসার মতো সিট আছে ভাবার মতো সময় দু'দিনে কি
আসে? করো মনের ভেতর উলঙ্গ ফুলদানির জল
ওই কাকাতুয়াটির পাশে আরও একজন
বসার মতো সিট আছে ভাবার মতো সময় দু'দিনে কি
আসে? করো মনের ভেতর উলঙ্গ ফুলদানির জল
যাকে সাঁতার বলে ভাবো ইংলিশে তাহাই নবের ঘাটে
ঘাই মারছে রুই, ওহো চ্যানেলে চ্যানেলে গান, সামারিটান
ক্ষুদ্র করো যেন তার ভেতর একটা একক পুতুলের ঘর
ঢুকে যায়, দাঁড়ি আর টানো ওগো মোর ট্যানারি মালিক
সে ভালো, আপাদমস্তক শোভন আফটার শেভে রোদ
যায়, বড়দিন ছোটোদিন, দিন না শুধু একটা সিট
সিটি তোমাকে দিচ্ছে ঠোঁট বড়বউ, ছোটোবউ হবে
তোমরাও কাকাতুয়াটির পাশে, লালসা বসে আছে
শ্যাওলা রঙের গালে পমেটম ঘষে যায় ওহ্,চামারনী
উস্তুমখুস্তুম করে চামড়া তুললে যে চচ্চড় আহ্... শব্দ
গড়িয়ে যায় ঝংকারে... পাশের সিটের কাকা-তুয়াটিও
যায়, বড়দিন ছোটোদিন, দিন না শুধু একটা সিট
সিটি তোমাকে দিচ্ছে ঠোঁট বড়বউ, ছোটোবউ হবে
তোমরাও কাকাতুয়াটির পাশে, লালসা বসে আছে
শ্যাওলা রঙের গালে পমেটম ঘষে যায় ওহ্,চামারনী
উস্তুমখুস্তুম করে চামড়া তুললে যে চচ্চড় আহ্... শব্দ
গড়িয়ে যায় ঝংকারে... পাশের সিটের কাকা-তুয়াটিও
গান
দু'টি ফলের মাঝে কর্ম বাড়ে আড়ে বহরে শুধু
ঘর আর পরিবার পরিজনরাও এতটা লম্বা হয়ে যায়
তাদের চোখের দিকে তাকানো হয়ে ওঠে নাকবেকার
ছবি যার শুধু নেগেটিভ পার্টটি ভালো, পজিটিভ পার্টে
অভিনয় বন্ধ রেখেছি কিছুদিন দুটিমাত্র ভাগ আর গুণ
টানা সেগুনবনে, বীথিকায়... আমাদের নীললাল ছায়া
বাড়ে বহরে আড়ে... শুনে যাও শেষ গানটুকু গ্লানির
ভেতর যে লহমা জাগছে তার গান, তার বুলেটপ্রুফ কথা
দিয়ে সেই গীতিকার ছুটিতে গিয়েছে উটি... ছুটো না
তার পেছনে টান, দু'টি ফলের ভেতর যেদিকে তাকানো
হয়নি বহুদিন বলে বহুজন প্রেমিকা তাকে একত্রে ধরছে
ঘর আর পরিবার পরিজনরাও এতটা লম্বা হয়ে যায়
তাদের চোখের দিকে তাকানো হয়ে ওঠে নাকবেকার
ছবি যার শুধু নেগেটিভ পার্টটি ভালো, পজিটিভ পার্টে
অভিনয় বন্ধ রেখেছি কিছুদিন দুটিমাত্র ভাগ আর গুণ
টানা সেগুনবনে, বীথিকায়... আমাদের নীললাল ছায়া
বাড়ে বহরে আড়ে... শুনে যাও শেষ গানটুকু গ্লানির
ভেতর যে লহমা জাগছে তার গান, তার বুলেটপ্রুফ কথা
দিয়ে সেই গীতিকার ছুটিতে গিয়েছে উটি... ছুটো না
তার পেছনে টান, দু'টি ফলের ভেতর যেদিকে তাকানো
হয়নি বহুদিন বলে বহুজন প্রেমিকা তাকে একত্রে ধরছে
ছাড়ো ছাড়ো গলা তার, কিশোরককণ্ঠী নয় সে
ছাড়ো, বহুদূর মাত্রা রেখে রেলব্রীজ পার করে ছাড়ো
বিধিসম্মত স্নেহ
বাতাবি স্নেহতে যে বড়ো হয় তার নাম কি দিয়েছো তুমি
বড় অসহায়তা ছাড়া সেই ছায়া কে'ই বা চিনেছে যেভাবে
সাবানের ভেতর আরেকটা মহিলা... ও মহামহিম,
আপনার বিধিমত সতর্কতা জারি রেখে ওই উপদ্রুত
অঞ্চলে স্নেহ বুনি... অপত্য পাথর গড়ে উঁচুতে উঠলে
তার ডগা কাঁপে, তিরতির ঠোঁটে কথাকলি তার নাম
বড় অসহায়তা ছাড়া সেই ছায়া কে'ই বা চিনেছে যেভাবে
সাবানের ভেতর আরেকটা মহিলা... ও মহামহিম,
আপনার বিধিমত সতর্কতা জারি রেখে ওই উপদ্রুত
অঞ্চলে স্নেহ বুনি... অপত্য পাথর গড়ে উঁচুতে উঠলে
তার ডগা কাঁপে, তিরতির ঠোঁটে কথাকলি তার নাম
সে নিজেও জানেনি যতটা বড় হলে ধরা পড়ে ভরাট
বুকেরপাটা, ছায়া আর তসবিরওঠা পারদপ্রলেপ
জেনো প্রণয়ঘটিত ততটাই তা গেরিলাযুদ্ধ
পাহারাস্নেহে তুমি এসে বসেছ আজকে, শোনো
ডাহুক আগামীকালের রাতে ডেকে গেছে কি নামে
শুনিনি আমি, বহুকালব্যাপী কোনো শুনিনা কথাও
গুণিনের মতো একদিন তোমারও তো বিপদসীমার নীচে
শুকিয়ে গিয়েছিল শর্করাবৎ নদী... খুব অসহায়আমি
তাকে চিনেছি, তার ফুলছাপ গঠনও চিনেছি এমনকি
ক্ষারের ভেতর উজ্জ্বল প্রতিটা আলোও চিনেছি ছায়ায়
ডাহুক আগামীকালের রাতে ডেকে গেছে কি নামে
শুনিনি আমি, বহুকালব্যাপী কোনো শুনিনা কথাও
গুণিনের মতো একদিন তোমারও তো বিপদসীমার নীচে
শুকিয়ে গিয়েছিল শর্করাবৎ নদী... খুব অসহায়আমি
তাকে চিনেছি, তার ফুলছাপ গঠনও চিনেছি এমনকি
ক্ষারের ভেতর উজ্জ্বল প্রতিটা আলোও চিনেছি ছায়ায়
নিগ্রহ
ওই নিগ্রো মেয়েটির ভেতর তুলি আছে, রঙ কালচে
শেডের মধ্যে পোড়া রোদ যা দুপুরে আঙুরক্ষেতে থাকে
এবং বিকেল হলেই ঢলে পড়ে রসের দিকে নাগর
আমার সেখানেই দেখি মেয়েটির ফ্রক বেয়ে ক'টা লোক
চলে সেই গেল ঘরের হাতল টানল আর মেঝে রঙে
ফুটছে মেয়েটির পেট তার ন্যুড স্টাডির অবজেক্ট শুধু
সাবজেক্টিভ শিল্পী ও তার সত্তাটুকুই বেমানান বসেছে
নধর নগ্নতার সামনে, চলো আমরা দৃশ্যগত সমষ্টি নিয়ে
যে কম্পোজিশন তার ভেতর তাকাই,লোকগুলোর হাত
কারণ ছাড়াই হাতল খুঁজছে, খুলতে চাইছে ওই আলো
কালো যা নিগ্রো মেয়েটিও জানে কালোজামরঙা এক
বাটিতে বসেছে তাদের নাকের ঘ্রাণ, শিল্পীও বসেছে
কাগজে... এসো খবরের ছবি আঁকি, সেই নিগ্রহ হয়ে
পাশ ফেরা মেয়েটির ভেতর তুলি ও চারকোল যেন
পাঁচ কোলে যাবে বলে সে জন্মে উঠেছে, বিছানা ছেড়েছে
শেডের মধ্যে পোড়া রোদ যা দুপুরে আঙুরক্ষেতে থাকে
এবং বিকেল হলেই ঢলে পড়ে রসের দিকে নাগর
আমার সেখানেই দেখি মেয়েটির ফ্রক বেয়ে ক'টা লোক
চলে সেই গেল ঘরের হাতল টানল আর মেঝে রঙে
ফুটছে মেয়েটির পেট তার ন্যুড স্টাডির অবজেক্ট শুধু
সাবজেক্টিভ শিল্পী ও তার সত্তাটুকুই বেমানান বসেছে
নধর নগ্নতার সামনে, চলো আমরা দৃশ্যগত সমষ্টি নিয়ে
যে কম্পোজিশন তার ভেতর তাকাই,লোকগুলোর হাত
কারণ ছাড়াই হাতল খুঁজছে, খুলতে চাইছে ওই আলো
কালো যা নিগ্রো মেয়েটিও জানে কালোজামরঙা এক
বাটিতে বসেছে তাদের নাকের ঘ্রাণ, শিল্পীও বসেছে
কাগজে... এসো খবরের ছবি আঁকি, সেই নিগ্রহ হয়ে
পাশ ফেরা মেয়েটির ভেতর তুলি ও চারকোল যেন
পাঁচ কোলে যাবে বলে সে জন্মে উঠেছে, বিছানা ছেড়েছে
বাক্স
সের'ম মানে না থাকা রাত ঢুকে পড়ছে বাক্সের
ভেতর যদিও তাঁতের ফুলে তোমার নাভি আর
প্রদেশ বলে যে ক'টা ছেলের দঙ্গলকে তুমি চিনেছিলে
ম্যালিনা সিনেমাটা দেখে ফেলেছিল ওরা... ওরা
অরাজকতা, ওদের কার্পাসবন ধ্বংস করাই কাজ, খবর
আছে ওরা পাই পাই তোমার নাভিতে, নাইন এম এম
মুখ আর গানস অ্যাণ্ড রোজেস গান, কেউ রোজগেরে
নয়, দশ হাত ঘুরে, ফিরে একটি পাফ জোটে তাদের
যেন মারিজুয়ানা তোমার প্রদেশে চাষ বাস ভুলেছিল
ভেতর যদিও তাঁতের ফুলে তোমার নাভি আর
প্রদেশ বলে যে ক'টা ছেলের দঙ্গলকে তুমি চিনেছিলে
ম্যালিনা সিনেমাটা দেখে ফেলেছিল ওরা... ওরা
অরাজকতা, ওদের কার্পাসবন ধ্বংস করাই কাজ, খবর
আছে ওরা পাই পাই তোমার নাভিতে, নাইন এম এম
মুখ আর গানস অ্যাণ্ড রোজেস গান, কেউ রোজগেরে
নয়, দশ হাত ঘুরে, ফিরে একটি পাফ জোটে তাদের
যেন মারিজুয়ানা তোমার প্রদেশে চাষ বাস ভুলেছিল
ওই বাক্সের ভেতর ফুল আর তাঁতমেশিন... ওহ্সদর্থক
দানায় ভরে আছে, প্রাদেশিকতা তাদের বাহুতে আর
ফুলছো তুমি রাতের মতো বিরেতে অসময়ে,নাভিদেশ
জুড়ে একটা পাইন বন, শব্দ হয় না, সশব্দ হয় না শুধু
মন্তব্যসমূহ