অরিত্র সোম



নববর্ষ ১৪২৫- ৪


যে রাতে কপালকুণ্ডলা
কলকাতায় এসেছিল





পার্ক সার্কাস ভেঙে, বেরোতে বেরোতে
মেয়েটি ফুটে উঠল--
             বংশীর ছানাটাকে, শেষবার
             জলার ধারে দেখেছিলাম

             আচ্ছা, ও কি এখনও সকালে
              গুড়-বিচালী খায়?...

ট্রাফিকের কালো আলো
আমাদের কথার মাঝে-- একটা একটা করে
                                দাঁড়ি বসিয়ে দিচ্ছে



অন্ধকারে স্যাঁধানো বাড়িটা থেকে
একটা বাবু-- টলতে টলতে, বেরিয়ে গেল।

মেয়েটা, খোলা আকাশ ধরে এখন, শুধু
বাড়িটার দিকে তাকাবে
আর একটা মেঘ, আস্তে আস্তে

চাঁদের দিকে সরে আসবে...



সেই বিপ্রতীপ সময় থেকে
বাড়িটা,-- আবাসছাড়া

ধোঁয়া ওঠা, মোজাইক সন্ধে থেকে
আস্তে আস্তে ফিরে যাচ্ছে জাহাজ ;
ভোঁ উঠছে...

ইট পাঁজরা ভাঙতে ভাঙতে
অন্ধকার নেশা থেকে-- ছায়া এসে দাঁড়ায়

                    তবে, তুমিই কি...



শাশ্বত থেকে জটিল হচ্ছে অবহেলা

রাত নামে। চাঁদ নামে।  মেয়েটি মুখোমুখি হয়
ল্যাম্পপোস্টে ঢাকা পড়েছে গল্প
বাড়িটা এবার, রাস্তা ছাড়াতে ছাড়াতে
আরও একটা আশ্রয় খুঁজে চলেছে 

              ' পথিক, তুমি কি পথ হারাইয়াছ?' 

মেয়েটি এল।
খানিক কেঁদে নিল।

তারপর শিশুর মত-- জানলা মেলে ধরল... 

এসো পৃথিবী, এবার আমাদের 
সেতার হওয়ার  সময়

মন্তব্যসমূহ

saptarshi chatterjee বলেছেন…
অভিনব ভাবনা। গল্পের মতই লাগলো।
Aritra Som বলেছেন…
অসংখ্য ধন্যবাদ সপ্তর্ষি দা। 😊😊

জনপ্রিয় লেখা