দেবোত্তম গায়েন
নববর্ষ ১৪২৫- ৫
মাছি জানেনা যা-কিছু কাটা ফল...
১
আদল নষ্ট করছে স্মৃতি। তোমার ফিরে আসার মধ্যে তাকিয়ে থাকা না'ও আবশ্যিক হতে পারত। শীত এলে মানুষ জুড়ে জুড়ে থাকতে চায়, পাতা নয়। এই বেহায়া হয়ে জুড়ে জুড়ে থাকার অভ্যাস, অদৃশ্য হয়েও নেই। কাটা ফলগুলো সেইভাবে বসে আছে, মাছিরাও। এই আপ্যায়ন মৃত্যু অবধি তোমাকে হাসিয়ে যাবে!
২
আজ আসবেনা, কালও ফিরলো না। ছবি হয়ে উঠতে পারছে না এই ক্যানভাস। অলীক কাকু অনেক ভেবে কুয়ো পরবর্তী গাছটা নিয়ে বসে রইল। বিষয়ভিত্তিক মানুষের ঐ চাহনি গাছকে কীভাবে যে দলীয়করণ করে, মানুষকেও। রাত হয়েছে, কাকিমার অস্থিরতা পুষে রাখা শেকড়ের আদল নিয়ে ভাবতে ভাবতে অলীক কাকু উঠে গেল। মাটির দিকে। আস্তানা ও মৃত্যুর দিকে। রক্তের জমাটের মত বিষয়ভিত্তিক মানুষও জটলা পাকিয়ে। তাকিয়ে। আছে শুধু স্থির...
৩
সবুজ থেকে আলোড়ন উঠলে আমাদের নরম দূরত্ব কিছুটা অতিক্রম করা যায়। অলীক কাকু সেই বিষয়টাকে আটক করছেন ফাঁশ বিছিয়ে। কাকিমা এইমাত্র গাছে জল দিয়ে এলেন। তাঁর দৃষ্টি দিয়ে আমরা মুক্ত হতে চাইলাম। মাতৃত্ব চাইলাম। তিনি ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেলেন ঘরের মধ্যে। অদ্ভুত এই রক্তশূন্যতা আমাদের বয়ে বেড়াতে হবে "মা" পর্যন্ত। অলীক কাকু এটুকু দেখার জন্য বন্দী করেছিলেন।
৪
বিকেল থেকে শব্দ তুলে বেলা কে আলাদা করে তুলেছেন, ঘরময়। ছোট্ট এই ঘরটাতে বসে অলীক কাকু ফাঁদ পাতেন। পরবর্তী বিষয় তার শূন্যতা।
৫
নিজের বাগান থেকে আজ রজনীগন্ধা তুলে সাজিয়েছেন অলীক কাকু। আজ জন্মবিষয়ক মৃত্যুদিবস পালন করার জন্য আমরা সবাই উপস্থিত হয়েছি তার মুখোমুখি। আমাদের গভীর দৃষ্টি দেখে অলীক কাকু পাগলের মতন হাসছেন। তার শীর্ণ শরীরে কয়েক লক্ষ্য মাছি। তিনি চিৎকার করে করে একটার পর একটা দৃশ্যকে হত্যা করে যাচ্ছেন। তিনি উন্মাদ, দৃশ্য-পিপাসু।
মন্তব্যসমূহ