তাপস বিশ্বাস
নববর্ষ ১৪২৫- ৩
জাল
সমুদ্র দাও, আরও সমুদ্র দাও।
দু’পায়ে ফর্সা ধরে ওঠো অব্যবহার।
পুরনো ছত্রাকে খিদে ঋতু রুটির উপুড়চিহ্ন দাও।
দাও ঈর্ষার দাওয়াত।
কালেভদ্রে বিস্তারিত হতে হতে আমি
লবণের এঁটো খুঁটে নিই।
আরও নিচে পেতে পারি কিছু অনন্ত খাবার।
আমাকে পেতে,
ছড়িয়ে দাও জলের অতীতে আমার খিদের নাগাল।
দূরের অনল
দূরের অনল। অনাত্মীয়, তবু
সাবলীল পেতেছে সেই আলোর মাদুর।
তুমি বিরামের দিকে আঁশবদ্ধ হও।
ফুটিয়ে তোলো ঘুম। চরিত্রের অধিক।
ওকে শব্দের কথা বলো না।
ওকে ‘মৃত্যু’ বলো না এখন।
দাহকার্য এক নিজস্বে বসার দালান।
জলপাত্র যথাবৎ। শীতল অনূঢ়াপ্রভা।
তুষের অক্ষরে
গাছে গাছে মাথা ফাঁকা হয়ে গ্যাছে।
মহাশ্মশানের বিশ্বাস
ধুলোর নেশা করে উড়ে আসছে হাওয়ায়।
কাণ্ডের সুবৃহৎ রসনায় গাছেদের না-পোড়া নাভির আগে আগে
মাটি নিয়ে নেমে যাচ্ছে শিকড়, একার সাহসে।
জলে নামছে। ভাসাচ্ছে আমাদের চিরজীবী কাঁপন!
এভাবে মাথা ফাঁকা হয়ে গেলে
মাটির গঠন ফাঁকা হয়ে গেলে
পুতুলের দাগ রেখে গাছেদের ছায়াবৃত্ত নঞর্থক হয়ে গেলে
আরণ্যকে
ধোঁয়ায়
ধুলোয়
চুল্লিতে
আমাদের শিকড়ে সন্তানে স্নেহে, দাউ
চিরাগের মাথায় তুষের অক্ষরে ওড়ে!
কিছু কিছু নদীস্রোত
কিছু কিছু নদীস্রোত নিষেধের মাথা নিয়ে আসে।
সেতুর শান্ত ঝোলা পায় না শীতলের কফিন।
তাবড় উৎসব গায়ে মুড়ে এই যে এগোচ্ছে পার,
আমরা তাকে নরম, এক জলের স্নেহে দেখি।
মৃত্যু নিরুপায় নামালে ঘাটে
আমার ভেতরে বলো, বলে ওঠো পিতাঅক্ষর
তাকে প্রণামের ব্যবহারে ছোঁবে কখনো?
নজর
এখনো ভাবছি-
চোখ ভেঙে ফিরে যাচ্ছ নজর...
আর এই কঠিন লবণের পথে
দুটো শব্দ ভিজিয়ে কাকে টানছি আমি?
অভিমান
নাকি, তোমার বিদ্রুপ!
মন্তব্যসমূহ