সুদেষ্ণা মৈত্র
সুদেষ্ণা মৈত্র'র পাঁচটি কবিতা
খিদে
শীতকালে চাদর নিতে ভুলেই যাবে মা
পা কুঁকড়ে একা শুয়ে থাকা দেখে
আমি সার্টিফিকেট গোছাতে শুরু করি
আয়নার সামনে খেলি সাওয়াল-জাবাব।
পা কুঁকড়ে একা শুয়ে থাকা দেখে
আমি সার্টিফিকেট গোছাতে শুরু করি
আয়নার সামনে খেলি সাওয়াল-জাবাব।
চুক্তি
বাবার মৃত্যু যতোদিন না সহানুভূতি হয়ে উঠেছে
আমি ঠিক ততোদিন
করুণা ও অশ্লীলতা শব্দ দুটোর পার্থক্য বুঝতাম।
আমি ঠিক ততোদিন
করুণা ও অশ্লীলতা শব্দ দুটোর পার্থক্য বুঝতাম।
ভয়
ভাতের দলা থেকে স্পষ্ট কান্না উঠে এলে
আমি হাঁড়ির ভিতর ফুটতে শুরু করি
ব্যস্ততা-পালাতে শেখায়।
আমি হাঁড়ির ভিতর ফুটতে শুরু করি
ব্যস্ততা-পালাতে শেখায়।
ঘ্রাণ
আবার নিচের দিকে নামলে সিঁড়ির ঘর
উপরদিকে উঠলে - দড়ি
আল্পনা এঁকে রেখে রোদ্দুরে দিদিমার
ঘুম-রঙা শাড়িগুলো মেলে আসি।
উপরদিকে উঠলে - দড়ি
আল্পনা এঁকে রেখে রোদ্দুরে দিদিমার
ঘুম-রঙা শাড়িগুলো মেলে আসি।
বয়স
পাশ ফিরলেই রূপকথা শোনাবে বলে দিদা বসে আছে
ঘুমিয়ে গেলে মা স্বপ্নে রোজ আসে
আমি একগ্রাস ভাত মুখে নিয়ে
হাপুৎ লিখে রাখি
অধিকার হস্তান্তরে।
ঘুমিয়ে গেলে মা স্বপ্নে রোজ আসে
আমি একগ্রাস ভাত মুখে নিয়ে
হাপুৎ লিখে রাখি
অধিকার হস্তান্তরে।
মন্তব্যসমূহ