রাজদীপ রায়
কন্যারাশি
এক
রুটি পুড়ে যাওয়া গন্ধে মাতোয়ারা সন্ধের আকাশ
তাওয়ায় পুড়ে পুড়ে সোনা হচ্ছে বাসি চাঁদ
আজ তার কলঙ্কের কাছে খড়কুটো রেখে
বাসা বাঁধতে গেছে লুপ্তপ্রায় চড়াই
দু একটা আবছা নক্ষত্র দুলছে হাওয়ায়
যেন তাদের মনকেমনের পাশ দিয়ে
এইমাত্র উড়ে গেল কোন সুপ্রাচীন উপগ্রহ
রুটি পুড়ে যাওয়া গন্ধে এলোমেলো রজস্বলা আকাশ
দুই
দিনরাত শুধু ভুল বকে গেছে মায়াঘড়ি
জন্মকে মৃত্যু,মৃত্যুকে জন্ম ভেবে গেছে
আর এই বিভ্রান্তির ফলে
জনশূন্য হয়েছে রাস্তাঘাট
নার্সিংহোমের করিডোরে ওষুধের উগ্র গন্ধে
দুধের অস্তিত্ব মেখে ফেলে
যে ডাক্তার পাগল হয়েছে রাতারাতি
তুমি ভুল সময়ের মধ্যে বসে
শুধু তারই জন্যে সেকে রাখছ রুটি
চাটু গরম হয়েছে অতিকায় সূর্যাস্তের মতন
তারপর... প্রথম লেখা গানে কেউ সুর দিতে বসেছেন...
তিন
জ এ জন্ম , জ এ জাম, জ এ জ্বর
আবার জ এই জারজ
এমনি সব আদি ও অনন্ত সম্ভাবনা নিয়ে
প্রানের বিকাশ হয়
কিছু বস্তু নড়ে ওঠে
কিছু বস্তু স্থির হয়
বর্ণপরিচয় শেষে
দেয়াল ফাটিয়ে আসে বটচারা
মাথা ঘুষি মারে
সমভূমি প্রণাম জানায়...
চার
কুয়াশার মত এইকটা ভাত আঙুলে জড়িয়ে আছে...
সন্তানের জন্য প্রতিদিন ভাত মেখে দিতে দিতে অনুভব করি
সামান্য খাবার কণা আরও মিহি হয়ে
নিজেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে তার অতীতের কাছে
মাঠের পর মাঠ শুধু ধান আর ধান
এক জন্মের নেপথ্যে অন্য কোনও মৃত্যুর অবদান থাকে।
মন্তব্যসমূহ