অনির্বাণ দাস
আনাগোনা
১
খেতে বসে, খাওয়া শেষে
ভাতের থালায়
কতবার যে কিশোর তর্জনী
লিখে লিখে মুছে দিত নাম
গোপন আমিষে
মাছ ঢাকার জন্য
শাকের মতো ছিল বন্ধুরা
আঁটির পর আঁটি
খাঁটির প্রশ্নে যাব না আর
সেইসব থালাও তো আর নেই
সবই এখন স্টেনলেসস্টিল
আর এই এঁটো আমি
বেনামে রয়ে গেলাম দ্যাখো
কতবার কতভাবে হাত ধুয়ে এসে...
২
মানুষ এত কাঁদে কেন?
অন্তঃস্থলে পৌঁছনোর জন্য
জলপথে
জানে
কিন্তু বোঝে না
পাছে বোঝা বেড়ে যায়...
৩
যে যাকে খুঁজছে
সে তাকে পাচ্ছে না বলেই তো...
ডটগুলো তো আসলে জেগে থাকা রাত
কত ডট দেবে
সে তো শুধু তুমি জানো
৪
ন্যাড়া মাথা
বাজ পড়া তাল গাছ
বুকে কাঠবিড়ালির বাসাটি নিয়ে
তবুও তো বেঁচে আছে
সমাজ যাই বলুক
মরে যাবে
মনে মনে জানে
কাঠবিড়ালি চলে গেলে...
৫
সবার ভিতরেই একজন ব্যর্থ গোয়েন্দা থাকে
যে টর্চ হাতে
সূত্র ধরে ধরে এগিয়েও
শেষ অব্দি কূল-কিনারা করতে না পেরে
বাড়ি ফিরে একা একা কাঁদে
শুধু অপরাধীটা যদি একটু বুঝতো...
মন্তব্যসমূহ