দীপান্বিতা সরকার

দীপান্বিতা সরকারের কবিতা





কেন ছায়া ছায়া 

        ১
এই উপোসের অভ্যেস আমার
যেন তুমি প্রহর শেষে সত্যি হয়ে আসবে
পেষণে পেষণে জাগাবে আবার মরে যাওয়া খিদে,
জীবনের রঙ !
উপবাসের শুরুতে শুরুতে যেমন লেগে থাকে
রতিগন্ধ আর লোভের আতর
যেন সত্যি আসবে তুমি
যেন ভাত মেখে গ্রাস তুলে দেবে মুখে

                  ২
আলতার ছাপ টেনে টেনে কে চলেছে
এক আকাশ কালো মেঘের মধ্যে দিয়ে
 আকাশ পরিস্কার হবে
তোমার বিষাদের ছেলেমেয়ে এই পেটের মধ্যে
সেঁধিয়ে থাকবে আজীবন
যখন চরাচরে তুমি কোথাও নেই
শুধু ভেসে আছে ডানা , কয়েকটা কথার ধুলো
দুএক মুঠো অনন্ত ।
ওরা সূচ্যাগ্রসম , মাংসভেদী , বোধভেদী
সময়ে সময়ে ঠিক জেনে নেয়
আমি বেঁচে আছি কিনা

                     ৩
কেন ছায়া ছায়া কেন সহজ হবে না তুমি?
কেন খুলে বলবে না কথা-কষ্ট
কেন থাকবে একা?
বাতাসের কারাগারে এত যে কামনা
এত জলের তোড়
আমার ঘুম আসে না আজকাল
যে হাতে লেখো , কত লিখেছো
সে হাতের স্বাদ পাবো বলেই না
রক্তের অধিক এই অস্তিত্ব আমার
কেন আলোর মত, শ্বাসের মত
সহজ হবে না জীবন ?
     

মকরসংক্রান্তি                    

 

পিঠে চুল শুকনো রোদ নিয়ে তোমায় ডাকি , তেলের ছিটে ,ছ্যাঁকা খাওয়ার মুহূর্তে, বারান্দায় পাটপাট করে কাপড় মেলতে গিয়ে আর সঙ্গমশেষের কান্নায় ,সন্তানকামনায়, দাউদাউ একঝলক চুল্লীর সামনে তোমায় ডেকেছি প্রভু,আড় চোখে , ঘুরে ঘুরে এদিক সেদিক ,আর তুমি কিনা কিচ্ছু না বলে কেমন চুপটি করে সামনে এসে দাঁড়ালে , এমনিভাবে দাঁড়ালে যে ভদ্রতার খাতিরে হলেও একটিবার না কথা বললেই নয়? 

কাজল খানিক বেশি করে না দিলেই নয় আজ। তুমি যত্ন দেখোনি বহুদিন তুমি ভাঙাচোরা তুমি মাটি মাটি হয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে বলে আমি খানিক মন দিয়ে চুল বাঁধছি দেখো দেখো তুমি পড়বে বলে আরও কত লিখে রাখছি সন্ধে নামার শব্দ আর খুলে রাখছি কতকালের পুরনো একটা জ্যাকেট তোমার গা থেকে সরাচ্ছি ধুলো আর অন্ধকার, হিমজ্যোৎস্না কুলকুল করে উঠছে পেটে,আমার। 

 মাঠাবুরুর মেলা। তোড়াং আর ঢেঁকি । স্বপ্নে আসেকম্বল রোদে দেওয়ার নাম করে আমিও র দেখি। নাগরদোলা চড়ি । তোমার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে গামছা কিনি । টুসু ও টুসু, কেমন গান গাস?

মন্তব্যসমূহ

একটু নাহয় চুপ করে বসে থাকি
একটু নাহয় চুপ করে বসে থাকি

জনপ্রিয় লেখা