ঋক অমৃত
ঋক অমৃতের চারটি কবিতা
এবার একাত্তর
অজন্তার মুরাল নাকি ভারতের
মানচিত্র, তর্কটা ছিল কার শিল্পগুণ বেশী সেই নিয়ে। সুমনদা স্বভাবসিদ্ধ, চৈত্যের
কথা বলতে গিয়ে খুব সহজেই পাঁচশ, হাজার বছর 
অতিক্রম করে যাচ্ছিল ইতিহাসের পাতা, উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল চোখ; অথচ দেশ-এর কথা
বলতে গিয়ে, আমি উনিশশো সাতচল্লিশের পর আর একটুও এগোতে পারলাম কৈ!
ভাগে বাড়ছি দাদা। স্বাধীনতার এমন জন্মদিনে এসো, কেকটাও আমরা
রাজ্যের মানচিত্রের মাপেই কাটি।
বিজন থিয়েটার
“সাজঘরে নীরবতা বজায় রাখুন, মঞ্চে নাটক চলছে”
উইংসের পাশেই দেখো -- সমস্ত কিংবদন্তীরা,
সংলাপ মেকআপে রেডি, থার্ড বেলে প্রতিসীরা ওঠে, 
স্টেজে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে, সঙ্গে ওভি ভ্যান, দমকল...
জনান্তিকে উড়ে আসা প্রশ্নেরা বিহ্বল
“মঞ্চ কার? 
নটের না? 
না তো, প্রোমোটার’!”
(অভিনয় শেষে, ম্লান হাসি হেসে)
এক্সিট. বিজন থিয়েটার...
একুশ শতক
মৌলিক সংখ্যাদের মত কথা,
কথার মত মৌলিক সংখ্যারা
অবচেতন
কাল সারারাত উত্তুরে হাওয়া চলেছে স্বপ্নের ভিতর। একটা
শকুনকে তাজমহলের গম্বুজে বসে থাকতে দেখেছি। তাকিয়ে ছিল লোটাস টেম্পলের দিকে। কিছু
খাকি হাফ প্যান্ট তাজিয়া করতে করতে যাচ্ছিল। দেখলাম। ক্রমশ গড়িয়ে গেল তোমার
স্বপ্নে। সেখানে তুমি রচনা করছ পৃথিবীর আধুনিকতম চিমনি। ধোঁয়া ওঠে। চা ও সিগারেটে।
আমার যেকোনো পথ কলেজ স্ট্রিটের দিকে যায়। পুরনো পার্টি অফিসে, সন্ধেবেলা, নতুন
স্টোরিবোর্ডে অপেক্ষা করেন চ্যাপলিন।
 






মন্তব্যসমূহ