সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়

গ্রিনরুমের ভাঙা সংলাপ 





(১)

কলাকুশলীদের মঞ্চ আছে
ভাঙা আয়নার একা সাজঘর

কান্নার পাশে পড়ে থাকে গ্লিসারিন

যন্ত্ৰণা অথবা রুজ
কোনকিছুই দীর্ঘস্থায়ী নয় বলে

আলতার শিশি ভাঙে |রক্ত গড়ায় |


(২)
কালকের সিরাজউদ্দৌলা
আজ মেহেরআলি

বুকের ভেতর শুধু হাততালি বাজে |

দর্শক যে কথা শোনে না কখনো
সাজঘর তুলে রাখে অশ্রুত কান্না

সব ঝুট হ্যায় -তফাত যাও ,তফাত যাও |"


(৩)
নকল তলোয়ারের ধার থেকে
ডিরেক্টার বীভৎসতা বোঝাতেই

বিড়ির আগুনে বুক পোড়ালো মিস রেশমী |

ক্ষতের ওপর অভিনয় মাখাতে মাখাতে
কান্নার সিন উতরে দেবে নায়িকাৎ

চোখে জলও আসবে -গ্লিসারিন না এলেও |


(৪)
ইকোতে কান্না টেনে টেনে
প্রতি রাত্রে ধর্ষিতা হয় মধুবালা
ডায়াসে তখন মদনকুমার -যতদূর অট্টহাসি
এমনই আবহসঙ্গীত থেকে অভ্যস্ত সাজঘর
পর্দা কাঁপে |নিম্নাঙ্গ কাঁপে না আর |


(৫)

মেকাপ তুলে ফেলতেই
চরিত্র নিজের মত একা
আবহে কেউ বাজে না কোথাও
ভাঙা মঞ্চ অন্ধকার গোছায়
সংলাপ নিজেকেই ভাঙে বারবার
ফ্লাডলাইট নিভে যায় চোখের আড়ালে |

(৬)

আবহসঙ্গীত না কাঁদলে
নায়িকার চোখে জল আসে না

খেলো হয়ে যায় ভিলেনের অট্টহাসি

সাজাহান হোক
অথবা বেদের মেয়ে জোসনা

আবহসঙ্গীত নিজেকে গুছিয়ে নেয়
বদলে যাওয়া ঋতুর মত |

মন্তব্যসমূহ

চয়ন দাশ বলেছেন…
সুমনদা দারুন লেখা। খুব ভালো হয়েছে

জনপ্রিয় লেখা