বিবস্বান দত্ত

দোয়েলপাখিকে লেখা 



হে ঈশ্বরময় হাঁটা
তোমায় আমি জোনাকি করে এক শান্ত রাস্তা দেব

দুইপারের চুল বিদ্বেষী নদীর মতো দুদিকে সরে গেছে
 মাঝখানে সিঁথি

এই রাস্তায়
 অন্ধকারে 
হে হাঁটা
ক্ষণধর্মী আলো হয়ে এস



আমি চোখ বন্ধ করলেই ভেতরে একটা মেট্রো ঢুকে পড়ে বেশ ভিড় অথচ সেই  ঠাসা মেট্রোতে কিভাবে যেন উঠে পড়েছিলো একটা গাছ আর একটা পাখি

গাছটার অর্ধেকটা পুড়ে গেছে বাজে  পাতা শুকিয়ে এ এক অবনত গাছ শুধু ফলভারে নয় বলে আত্মে অবিশ্বাসী

পাখি যেন কিসব বলছে আর গাছ এক বৃদ্ধ গাছ মাথা নিচু শোনে

দুজনের কাছাকাছি আসা এসবই নিত্য পৃথিবীতে অসীম কালের কি হিল্লোলে তবু একজনের মনে প্রেম আর একজন কিছুই ভাবতে পারছে না বলে শব্দ শব্দ শব্দ এসে আলো ঢেকে দেয় জোর করে কোনো কিছু হয়

গাছ খালি মৃদু স্বরে আস্তে আস্তে আস্তে সবাই দেখছে অথচ পাখি উড়ে যাবার আগে বজ্রের আশীর্বাদে আগুন 

অবনত বৃক্ষ ভাবে এই যে শব্দ-রূপী আগুন আসলে অনেক দূর থেকে আসছে মেট্রো সেখানে যায় না সেসব বসন্ত দিন হলুদ শাড়ির মেয়ে ফর্সা গালের আবির গান গাইছে হাত উঠেছে মুদ্রায় আমার বাঁধন ছেঁড়া গান সেই হওয়ার আগুন তোমায় করেছিলাম দান

গান এসেছিলো তবু গলায় তো সুর নেই তাই অপমান এলো পূর্ণিমা সন্ধ্যায় মৃতদেহ জড়িয়ে রাখে রজনীগন্ধায় রূপ সাগরের তীর থেকে উড়ে যাচ্ছে হাত

অনেকখানি সর্বনেশে রবীন্দ্রনাথ


তোমাকে বলতে ইচ্ছে করছে ভালোবাসি
অথচ দ্যাখো, আমাদের মধ্যে মেঘ
আমাদের মধ্যে সেই কবে থেকে বৃষ্টি পড়ছে।

 আমি জানি এ হবার নয়
তুমিও বলেছ রোজ, কতবার
কতশতবার
আর আমি দেখছি ছাই, মরে যাচ্ছে জ্বলন্ত অঙ্গার

তুমি এই দহনবন্ধু
এইখানে তোমাকে পেলাম


এইখানে বিচ্ছেদ এসে চুপ করে বসে আছে
ওর আর কোথাও যাবার নেই

আমিও তো সেই কোথাও না যেতে পারা লোক,

বিচ্ছেদ হোক,

ওকেও কি যেতে দিতে পারি?

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা