দৈনিক যাপন ও দ্রাব্যতা | শুভদীপ মৈত্রের কবিতা | আঙ্গিক
৭)
মুখের রেখার উপর রেখা পড়ে
অথচ বাইরে এখন বসন্তের চমৎরোদ।
প্রেক্ষাগৃহের বাইরেও যা যা প্রেক্ষার –
হোহো হাসির গড়ানো যুবকযুবতীরা,
জেলি ও জেলাতো সব বহাল তবিয়ৎ।
আমারো সুবিখ্যাত পাঞ্জাবি ভাঁজে ভাঁজ সরল জ্যামিতি ভাঙে না
রকিং চেয়ারে লীন স্কুল-পালানো ছোকরার মতো,
পাখিদের সাম্যবাদী খুঁটে খাওয়ায় চোখ রেখে
ছড়ানো মনোবীজে ফিরে আসে তোমার ঘনমুখ,
চাহনির অবকাশ নেই এই নিরালায় বলে
সে অলেখ, রেখা ফেলে শুধু আমার শ্রীমুখে!
৮)
মেন্থল সিগারেট তুমি
সমস্ত বিষ ঢেলে দিলেও ঠোঁট ও গলায় তাজা স্বাদ
প্রৌঢ় বিকেল নামায় – অথচ বসন্ত উদ্বেল।
আজ জমির মালিকানা নিয়ে লড়াই লেগেছে
চড়াই আর মেঠো ইঁদুরেরা তাতে হাসে,
সারাদিন এ-আকাশ ও-আকাশ চড়ে তারা চয়ন জেনেছে
বলে পৃথিবীর সফলতম জোতদার তারা ছেড়ে দিতে শিখে।
আমিও চৈত্রের শাজাদা এক বিলিয়েছি স্বপ্ন গুলাল,
রাজস্বে উদাসীন যাব না মাগনে
অপ্রকাশিত কবিতার মধ্যে দেখো
কেমন আলস্যে আড়মোড়া ভাঙছি একা শুয়ে থেকে।
৯)
মধ্যবিত্তের লকলকে জিভ চাটছে ডিগ্রির মধু
শবরী-পোশাক খুলে নাভির তিন ইঞ্চি নিচে কাব্যবিশারদ
খুঁটে চলেছে প্রাত্যহিক জলপানি।
হিজলের বনে তোমাকে রেখে এসে আমি
শটির পরিজ বানাচ্ছি গ্রীষ্মের দুপুরে মরা-ঠাকুমার মতো।
বিয়ারে কোহল কম তবু ঝাঁঝ আছে,
নেতাদের যেমন স্টাডি সার্কেল নেই তবু নির্বাচনী হিংসা বাড়ে।
নেমন্তন্ন রক্ষার জন্য আজ জামায় ইস্তিরি পড়বে
বিলিতি সুবাসে গলির আবর্জনা-বালতি পেরতে
তবু হোঁচট............ পা মচকানি
এসব কোল্যাটারাল ড্যামেজ
আর তুমি পাঠিয়েছিলে ব্যক্তিগত ইস্তাহার
চৈত্রের শেষ চিঠি যাতে
ঝড় আসবেই – লেখা ।
মন্তব্যসমূহ