যার কোনও নাম নেই...


                                   

 || কুবলয় বসু ||


দৃশ্য-১

একটা বিকেল... যার চারপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে ব্যস্ততা, অথবা অপেক্ষা , আর আমি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কফিতে চুমুক দিতে দিতে পাঁচতলার জানালা দিয়ে দেখছি এই বয়ে যাওয়া। ওপাশের জানালা খুললে লেকের দিক থেকে ভেসে আসছে বাড়ি ফেরা পাখিদের ডাকাডাকি, মৃদুস্বরে আলাপ জমাচ্ছে সান্ধ্যভ্রমণকারী মানুষের ভিড়, যুবক-যুবতীরা। নিচের সাউথ এণ্ড পার্ক রোড দিয়ে চলে গেলো ই-১ বাস। দু’দিকের জানালা বন্ধ করে দিলেই ফের মুখোমুখি আমরা আর আমাদের টুকরো সংসার...


দৃশ্য-২

সেই সকাল দশটা থেকে পরপর চাপ, মাঝে লাঞ্চ ব্রেকটুকু বাদ দিলে আবার গলা তুলে বকে যাওয়া, বোর্ডওয়ার্ক... সাড়ে চারটের পর বেরিয়ে পড়া যাবে। যদিও আবার সাড়ে পাঁচটা থেকে তিন ঘন্টা ননস্টপ কথা বলা। উবার বুক করে বেরিয়ে পড়া গেলো। সাদার্ন অ্যাভিনিউ থেকে গোলপার্কের আগে গাড়ি ডানদিকে বাঁক নিলো। ঢাকুরিয়া ব্রিজে ওঠার আগে সিগনালে দাঁড়িয়ে পড়তে হবেই বেশ কয়েকবার। শেষবার ব্রিজের মুখে দাঁড়িয়ে থাকার সময় চোখ গেলো পাশের বড়ো ঝাঁ-চকচকে বিল্ডিংটায়, কাচের জানালা সরিয়ে পাঁচতলা থেকে তাকিয়ে আছে একটা মুখ, চেনা লাগছে বড্ড...


দৃশ্য-৩

তারপর, যেভাবে সবটা ফুরোয়... দিনের শেষে ওই ফিরে আসাটুকু লেগে থাকে সারাদিনের গল্পে, আচমকা সিনেমা হল থেকে উঠে বেরিয়ে যাওয়ায়, অথবা প্রবল বৃষ্টির দিনে বাড়িতে বসে থাকবো ভেবেও আচমকা বেরিয়ে পড়ায়! একটা জানুয়ারি থেকে পরের জানুয়ারি, নন্দন থেকে রবিবার বিকেলের সিটি সেন্টার... চলতেই থাকবে। আর দু’জনের মধ্যে আলো জ্বেলে পথ দেখিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবেন হেলাল হাফিজ, নির্মলেন্দু গুণ, ভাস্কর চক্রবর্তী... 


|| আঙ্গিকে কবির গদ্য ১ || 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা