শৌভিক মুখার্জি
স্ট্যাটাস-আপডেট
১.
প্রতিটি মানুষ আসলে মৃতদেহ লুকিয়ে বেঁচে থাকে। সেদিক থেকে দেখলে প্রতিটি অস্তিত্ব আসলে চলন্ত কফিন। যে কোনোদিন তার ডালা খুলতে পারে এটা ভুলে থাকাই আসলে প্রিয়তম অভ্যাস। এবং এত আসল সামলাতে গিয়েই মানুষ ক্রমশ সুদ-কষার অঙ্কে পারদর্শী হয়ে উঠেছে।
২.
তোমার ভিতরে থাকা গাছটাকে একদিন আমি ঠিক বাইরে বের করে আনব।
এই কথা বলে সে নিজেকে তিনভাগে ভাগ করেছিল।
জল মাটি বাতাসের খোঁজে আমাকেও বহুগামী হতে হয়নি।
এরপর সাধারণত যা হয়, চারা-জন্ম থেকে শালপ্রাংশু, সঙ্কীর্ণ থেকে বয়ঃপ্রাপ্ত, শীর্ণকায় থেকে মহাভুজ।
আর কদিন গেলেই নিজের ছায়ায় হাত পা ছড়িয়ে আরাম করা যাবে।
একথা শুনেই নীরবে আবার সে এক হয়ে উঠল।
আমার সমস্ত অস্তিত্ব সেলাই করেও তাকে ভোলাতে পারছি না।
ভীষণ ভয় করছে। সত্যি বলছি।
৩.
ঝর্ণার কাছে পৌঁছে হঠাৎ ঘড়ির দিকে চোখ পড়তে থমকে গেল ছেলেটি।
কাজে বেরোবার সময় হয়েছে।
আরো একবার নদীর জন্ম পিছিয়ে গেল।
বিজ্ঞাপন বিরতির আগে
প্রতিটি তাড়া খাওয়া মানুষ শেষ ট্রেনে ঘরে ফেরে। যেমন কোনো কারণ নেই, কিন্তু মনে হচ্ছে এখন বাড়ি না ফিরতে পারলে আমি মরে যাবো।
এক ছুটে বাড়ি গিয়ে শব্দ করে গেট খুলব। ঘুম চোখে মা গরম ভাত নিয়ে বলবে, "সারাদিন আর এমন খালি পেটে থাকিস না। পিত্তি পড়ে।" স্নেহের গরাসে এক মুঠো দু মুঠো ফুরোতে ফুরোতে মনে হবে," আজ থাক। কালই যাব না হয়।"
"বজবজ যাওয়ার শেষ গাড়ি দু-নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসছে।"
আসতে আসতে লাইন ছেড়ে প্ল্যাটফর্মে উঠে এলাম।
নতুন করে এখন তো কোনো তাড়া নেই, কদিন বাদেই না হয়...
স্রষ্টা-সুখ
ইচ্ছে করেই এলোমেলো ছড়িয়ে ফেলবো ওদের। হয়তো খুব মিল হবে, নয়ত ভীষন ঝগড়ায় ভেঙেচুরে একশেষ।
প্রেম অথবা শত্রুতা।
এর একটুপরে আমি হাল ছেড়ে ঠোঁটের কোণে হেসে বলবো,
"কবিতা লেখা কি এতোই সহজ? দেখো না, এত কিছু করেও ওদের বিয়েটা হলো না। "
মন্তব্যসমূহ