প্রগতি বৈরাগী
তুরীয়
আমরা কি মিশে যাব
আগুনের হাতে হাত রেখে,
পরানের পাখি আর জোনাকের জোছনার মতো
আগুনের হাতে হাত রেখে,
পরানের পাখি আর জোনাকের জোছনার মতো
মন্থন শেষে, ঈশ্বর গড়ে
দেব
মেধা আর দেহমদ ছেনে
আদতে কল্পকথা, শ্বাসবায়ুটির কাছে মৃদু বাস,
বোধনলগ্নে লীন বিধিটি আনত
মেধা আর দেহমদ ছেনে
আদতে কল্পকথা, শ্বাসবায়ুটির কাছে মৃদু বাস,
বোধনলগ্নে লীন বিধিটি আনত
তেমনি তোমার কোলে মুখ গুঁজে ছিটকে পড়েছি
এবার মোচনটুকু ঠিক লিখবে তো?
শেষ মাধুকরী
অথ প্রেমকথা শেষে লোহুও
লোহান হয়
এমনই ঠোঁটের ধার ছিল
ছিঁড়তে ছিঁড়তে তবু
বঁড়শির ঘ্রাণে গেঁথে আছে।
সেটুকু বিষয়াতীত, ক্ষয়াটে চাঁদের মত
গ্রহণ গরলে ডুবে জ্বর
অলীক আতর ভেবে তাতেই সাঁতার
খেলে
চূড়ান্ত বিষটুকু গাগরিতে
ভরে নিয়ে আসে
বাতিটি নেভার আগে, সলতে জড়িয়ে ধরে
কেঁপেছিল? প্রাণপণ বেজে উঠেছিল?
গূঢ় সে কৌটোখানি ভেঙে গেছে সূক্ষ্ম ঝনাতেটুকরো করুণ হলে ফুটে ওঠে
শেষ মাধুকরী...
মোহিনীপাথর হোক অক্ষয় যুবকের হাতে
স্বভাব
চৌকাঠে কোনোদিন মঙ্গলঘট
বসাব না
তুমি তো ভালই জানো
ওসব আমার ঠিক আসে না টাসে
না
বরং শব্দ কিছু বুনে দেব
উঠোনে বিছিয়ে
কবিতার শাক খাবো
জ্যোৎস্না মেশানো ভাত
দিয়ে
ছলকে ওঠার পরও, উচাটন
কিছু বাকি থাকে
ওটুকু যতনে রাখি
কোথায় রাখব বল!
ভাবি বাসাটিকে
অভূতপূর্ব সেই পরিণতি যদি ঘটে যায়
সকল নিখুঁত হুশ
মুহূর্তে অচেতনপ্রায়
তোমার স্বভাব শ্যাম, বেজে
ওঠে পাখিটির মত
পলকে ঘনিয়ে ওঠো
পলকে উড়াল দিয়ে, বাসাটি
ভুলতে সম্মত
প্রস্থান শেষে, মেপে
দেখে নেব আমি
কে বেশি হারামি, মনু
কে বেশি হারামি
ক্রম
সিঁদুর চিহ্নিত মেয়ে, ভালো থাক তুই
যেরকম সতী-সাধ্বী চৌকাঠ মেনে
চোখ তুলে তাকাবে না। তবুও
যে মন...
আছে নাকি! তবে থাক স্বামীর বাগানে
বারোমাস ওঠাবসা, বাগানে শিকড়
ছিঁড়ে ফেলে নিষিদ্ধ সীমা
ডিঙিয়েছে
মুগ্ধ ভরাডুবি করে চলে যদি
যাবে...
বেশরম, সে মেয়ে তো কবুল
বলেছে
মন্তব্যসমূহ