রাজর্ষি দে



নববর্ষ ১৪২৫- ২


বর্ষাস্নাত



বৃষ্টি উঠে আসছে নদীতে,
নদী উঠে আসছে সড়কে,
সড়ক উঠে আসছে ভিটেতে,
ভিটে উঠে আসছে খুলির ভিতর,
আর করোটির মেঝেতে মাদুর পেতে বসেছে তিন শেয়াল।
বাইরে বৃষ্টি যত ধারালো হয়
মাথার ভিতর তত রক্ত ঝরতে থাকে-
প্রথম শেয়াল রক্ত চাটে,
দ্বিতীয় শেয়াল রক্ত চাটে,
শেষ শেয়ালের রক্ত কম পড়ে যায়
তাই সে চিৎকার করে আরো বৃষ্টি চায়।

বৃষ্টি উঠে আসছে পুকুরে,
পুকুর উঠে আসছে শহরে,
শহর উঠে আসছে বিছানায়,
বিছানা উঠে যাচ্ছে মাথার ভিতর।


কাপুরুষ

বড় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে
গোলাপি মেয়েটি বলেছিল
সে স্বর্গে যেতে চায়,
স্বর্গ কোথায় সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণার অভাবে
তার হাতে আমি একগোছা
মোমবাতি তুলে দিয়েছিলাম

অসূর্যস্পশ্যা নারী এক রাতে
আমার কাছে আশ্রয় ভিক্ষা করেছিল
প্রভাতের নবকিরণের হাত থেকে
রক্ষা পেতে,
বাড়ির পিছনের মাঠে
ইটের তলায় তাকে রেখে এসেছিলাম

উপরের বিবরণগুলি থেকে যা পরিষ্কার হচ্ছে তা হল:
) (পুরুষকবিদের কাছে স্ত্রীজাতি অযথাই অনেক দাবী জানায়
জগতে কাপুরুষ কবির ন্যায় অসহায় প্রাণী বিরল


খুলে দেখিনি


একঝাঁক ভোরের শিশির
খামের তালায় বন্ধ ছিল,
আজ সময় হল।
সময় হল কুড়ার পাহাড় সরতে হবে
সেরম হলে আমাকেও তো সরতে হত!
তিন সত্যি আলতো করেও খুলে দেখিনি
ভিড়ের মাঝে ভানুমতীর সাফাইখেলা
ভোরের শিশির আলতো করে ছড়িয়ে দিলাম
ছড়িয়ে দিলেও পা ভেজেনি একটা ফোঁটাও,
দিনের ধুলো একটু হলেও
সাফাই হল।
দিনের ধুলো একটু হলেও
সাফাই হল?

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা