সোহম ভট্টাচার্য
সোহম ভট্টাচার্যের কবিতা
আমরা যেমন চাই
এসো প্রিয়জন বসত-বাড়িটি এসো এসো মুখ নীচু পাশের বাড়ির মেয়ে,
এসো ভুলে যাওয়া হারমোনিয়াম কাছে, 'দূরদেশী কোন রাখাল ছেলেটি' গেয়ে।
এসো আমাদের খাতা লেখা মুদি কাকু এসো আমাদের 'রিক্সো, রিক্সো যাবে?'
এসো আমাদের গোবিন্দভোগ পায়েস, জন্মদিনের প্রিয়জন কলরবে-
এসো 'দূরে থাকা', পুজোয় পূজোয় আসা এসো দূরে যাওয়া, কাছে আসা লোকজন
নতুন লেখার মতো এসো, এসো চোখে এসো, ফিরে এসো, অভ্যাস- আয়োজন।
পরিজন
এক।
মা কেবল দরজা খুলে দেয়।
সারারাত্রি হৈ হট্ট; সারাদিন উলুশঙ্খ-চ্যাঁ চেঁচিয়ে কেঁদে ওঠে জগত-সন্তান আর হাতে হাত লাগা-গলায় গলা মুড়িয়ে ধ্বস্ত ফেরে পিতৃকূল;
সূর্য নিভে যায়।
সেসব জানতে চায় না, অসুরখিদে মুখে, হাঁ হয়ে বাড়ি ফিরি- আর
মা!
মা কেবল দরজা খুলে দেয়।
দুই।
মাঝে মাঝে ম'নে হয়
দু ছত্র কোবতে লিখে বিখ্যাত হয়ে যাবে আমাদের-আমাদের কথা আর-আর লোকমুখে ফিরবে ফিরবে বিনয় -গায়ত্রী হয়ে।
মাঝে মাঝে ম'নে হয়
সন্তানকে দিয়ে যাব সুলতান সাহেবের ছড়ে টানা ইমন রাগ আর পুরনো বইয়ের দোকান থেকে আনা ছিন্নপত্রাবলী- শুরুর শুরু পৃষ্ঠাতে লেখা আছে আজও- 'তোমার কাছে রইল, ১৯৮০'।
মাঝে মাঝে মনে হয়
কোথায় গঙ্গা-ঘাটে দেওয়াকথা রাখাকথা ভুলে যাওয়া কথা আর কোথায় বিনুনী-তুমি- তুমি পাড়ার মাসিমা তুমি জগজ্জননী তুমি মাতৃরূপেন তুমি খেলার সিঁদুর।
আর আজও মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু, শুধু মনে হয়-
পরিজন যায়- একা হাতে পরিজন হাতে- থাকে ভাসানের জল।
মন্তব্যসমূহ