সুদীপ রাহা

পাপলেখা


তোমাকে চমৎকার লেগেছিল একবারই।
দ্বিতীয়বার চমৎকৃত হবার সু্যোগ নেই।
কেননা সেদিন তুমি ছিলে অশনি,
আর আমি সন্ধেবেলার সাধারণ গাছ!

কী করে লিখবো এখন
শব্দের বদলে চোখে এসে পড়ছে
তোমার স্থির নিষ্পলক চোখ
দেখতে দেখতে ঘোর লেগে যায়...
লেখাভর্তি ঘুমঘোর...

তোমার প্রেমের চিঠিতে, কবিতায়
যতবার আমার দেহ এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে গেছে,
তারচেয়ে ঢের বেশি বার আমি
নিজেকে পুঁতেছি আমার লেখায়!
এমন হতে হতে দেখলাম,
আমার জীবন ছেয়ে গেছে খানাখন্দে...
সেই খানাখন্দ ভর্তি প্রেমদোষ,
অন্যায় প্রেমের পুঁজ-রক্ত!

এখন তাহলে আমাকে পিটিয়ে মারা হোক।

নিজেকে ঠোকরাতে ঠোকরাতে
খুবলে খেতে খেতে
আমি জানতে চেয়েছিলাম,
কেন এত তীব্র আমার ভালোবাসা!
যখন উত্তর এল,
প্রশ্ন ততক্ষণে ক্লান্তিতে মূর্ছা গেছে।

আমার জীবনে এসেছে
অন্যায় প্রেমের ভ্রূণ;
তুমি হত্যা করবে না তাকে?
এসো, আমাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে
 খাইয়ে দাও ঐ ভ্রূণের রক্তে মাখা ভাত!
তারপর প্রায়শ্চিত্ত করে
আমি নক্ষত্রদের গর্ভে গর্ভে
একটা তীব্র আলো বমি করে আসি।

মন্তব্যসমূহ

vivaswan datta বলেছেন…
খুবই ভালো।

জনপ্রিয় লেখা